বাসস দেশ-৩৭
কমিটি-স্বরাষ্ট্র
দলীয় পরিচয় বিবেচনায় না এনে মাদকসহ সব মামলার আসামীদের কোন ধরনের ছাড় না দেয়ার পরামর্শ
ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস): স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় দলীয় পরিচয় বিবেচনায় না এনে মাদকসহ সব মামলার আসামীদের কোন ধরনের ছাড় না দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
কমিটির সভাপতি মোঃ শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে আজ সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় এ পরামর্শ দেয়া হয়।
কমিটির সদস্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন, মোঃ আফছারুল আমীন, মোঃ হাবিবর রহমান, সামছুল আলম দুদু, পীর ফজলুর রহমান, নূর মোহাম্মদ, সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ এবং বেগম রুমানা আলী সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগোপযোগি নির্দেশনার কারণে দেশে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে প্রতিষেধক টিকা সংগ্রহ করা এবং জনগণ উৎসবমুখর পরিবেশে টিকা গ্রহণ করায় কমিটির পক্ষ হতে অভিনন্দন জানানো হয়।
সভায় কমিটির ১৪তম বৈঠকের কার্যবিবরণী নিশ্চিত করা হয়। ১৪তম বৈঠকের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন ও অগ্রগতির প্রতিবেদন উপস্থাপন ও পর্যালোচনা করা হয়।
কমিটি চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ও দেশের সমসাময়িক পরিস্থিতির উপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন জননিরাপত্তা বিভাগ, সুরক্ষা ও সেবা বিভাগ এবং অন্যান্য সংস্থা সমূহের গৃহীত সার্বিক কার্যক্রমের উপর প্রতিবেদন উপস্থাপন ও আলোচনা করেছে।
মাদকাসক্ত আসামিরা বিশেষ অপরাধী বিধায় মাদক মামলায় আটককৃত আসামিরা যাতে সহজে জামিনে বের হয়ে যেতে না পারে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য কমিটি মতামত প্রদান করে। মাদকসহ সব মামলায় জড়িত আসামী যে দলেরই হোক তাকে কোন ছাড় না দেয়ার জন্য কমিটি সুপারিশ করে।
দেশে ও দেশের বাহিরে অবস্থান করে বিভিন্ন সামাজিক মিডিয়ায় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অসত্য তথ্য প্রচার/অপপ্রচারকারী বাংলাদেশী নাগরিকদের রাষ্ট্রদ্রোহীতা আইনের আওতায় এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি পরবর্তী বৈঠকে বিস্তারিতভাবে আলোচনার জন্য বৈঠকের আলোচ্য সূচিতে অন্তর্ভুক্ত করতে কমিটি সুপারিশ করে।
সভায় আগ্নেয়াস্ত্র বরাদ্দের ক্ষেত্রে সংসদ সদস্যগণকে অগ্রাধিকার প্রদানের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যেক জেলা প্রশাসককে পত্র দেয়ার সুপারিশ করা হয়।
সভায় একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম ১০টি বৈঠকের রিপোর্ট পরবর্তী অধিবেশনে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। এছাড়া, পাবনা জেলা কারাগারকে শহরের বাহিরে স্থানান্তর করা যায় কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য কমিটি সুপারিশ করে।
সভায় ১৯৭১ সনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত কাজ পরিচালনার জন্য গঠিত তদন্ত সংস্থা, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সার্বিক কার্যক্রমের উপর প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিবসহ অধীনস্থ সংস্থাসমূহের প্রধান ও সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/সবি/এমআর/১৯৩০/-শআ