বাসস প্রধানমন্ত্রী-৫ : আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী উন্নয়ন কর্মকান্ডের সাফল্যের অন্যতম অংশীদার : প্রধানমন্ত্রী

113

বাসস প্রধানমন্ত্রী-৫
শেখ হাসিনা-বাণী
আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী উন্নয়ন কর্মকান্ডের সাফল্যের অন্যতম অংশীদার : প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সরকারের যাবতীয় উন্নয়ন কর্মকান্ডের সাফল্যের অন্যতম অংশীদার। জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন, ঈদ, পূজাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব এবং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ও সংকটময় মুহূর্তে দেশের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জননিরাপত্তায় এ বাহিনীর সদস্যরা আত্মনিবেদিত ও সদা তৎপর। এরই ধারবাহিকতায় বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুতেই নানাবিধ সহযোগিতামূলক কর্মকান্ড ও সহায়তা প্রদানে এ বাহিনীর উদ্যোগ প্রশংসার দাবিদার।’
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও ৪১তম জাতীয় সমাবেশে ২০২১ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন। তিনি দিবসটি উপলক্ষে বাহিনীর সকল কর্মকর্তা, কর্মচারি এবং সদস্যদেরকে শুভেচ্ছা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অনেক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। বর্তমান সরকারের ১২ বছরের সময়কালে বাহিনীর সদস্যদের জন্য নতুন পোশাক প্রবর্তন, পারিবারিক রেশন প্রদান, সাহসিকতা ও সেবামূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রীয় পদক প্রবর্তন, কর্মকর্তাদের জন্য ২য়, তয় ও ৫ম গ্রেডে পদ সৃজন এবং মহাপরিচালকের পদটি প্রথম গ্রেডে উন্নীতকরণ, অন্যান্য পদের মানোন্নয়ন ও কর্মকর্তাদের বৈদেশিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পাশাপাশি একটি বিশেষায়িত গার্ড ব্যাটেলিয়নের তিনটি পদবির বেতন গ্রেডের ধাপ উন্নীত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্যাটেলিয়নগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৫টি ব্যাটেলিয়ন সদরে আধুনিক অবকাঠামো গড়ে মডেল ব্যাটালিয়নের রূপ দেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট ব্যাটেলিয়নগুলোর উন্নয়নও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমাদের সরকার এই বাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে এ বাহিনীর সদস্যরা মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমি মহান ভাষা আন্দোলনের এ মাসে ভাষা শহীদ আনসার কমান্ডার আব্দুল জব্বারসহ সকল ভাষা সৈনিক এবং ৬৭০ জন অকুতোভয় বীর আনসারসহ সকল শহীদের স্মরণ করছি এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।’
তিনি বলেন, মেহেরপুরের মুজিবনগরের আ¤্রকাননে বাংলাদেশের প্রথম সরকার প্রধানকে ১২ জন বীর আনসার সদস্য ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে এ বাহিনীকে গৌরবান্বিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সার্বিক সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
বাসস/তবি/কেসি/১৯৫০/-এএএ