বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : যুবলীগকে একটি আদর্শিক সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

111

বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-যুবলীগ-ভাষণ
যুবলীগকে একটি আদর্শিক সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

এদেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের চক্রান্ত সবসময়ই চলেছে এবং এদেশের তথাকথিত সুবিধাবাদী শ্রেনী তখন এবং পরবর্তীতেও তাদের অজানা কারণে সহযোগিতা করে গেছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য মুক্তিযুদ্ধকালীন যারা বিরোধিতা করেছে, হানাদারদের তোষামোদী করেছে, তাদের হাতে মা-বোনদের তুলে দিয়েছে, রাজাকার, আলবদর ও আল শামস বাহিনী গড়ে তুলেছে এবং এদেশের মুক্তিযুদ্ধে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছিল তাদের ষড়যন্ত্র কখনো থেমে থাকেনি। যেসব আন্তর্জাতিক শক্তি আমাদের স্বাধীনতায় বিশ^াস করেনি তাদের এই চক্রান্ত অব্যাহত ছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্ভাগ্য হলো এদেশের কিছু মানুষ তারা তখনো এটা উপলদ্ধি করতে পারেনি। অথচ যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার সময় জাতির পিতা কেবল মানুষ আর জমি পেয়েছিলেন আর কিছুই যুদ্ধে অবশিষ্ট ছিল না। সেই দেশ পুনর্গঠনকালে কিছু লোক নানা সমালোচনা, বদনাম করা, অপপ্রচার চালাতে শুরু করে।’
‘এত কিছু করেও বাঙালির মন থেকে জাতির পিতাকে মোছা যায়নি,’ বলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী ফারুক এবং রশিদের বিবিসিতে প্রদত্ত সাক্ষাৎকারে একটি স্বীকারোক্তিরও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তারা বলেছিল, ‘মুজিব এত জনপ্রিয় ছিল যে শত চেষ্টা করেও তাঁকে মানুষের মন থেকে মুছতে পারেনি তাই তাঁকে হত্যা করেছিল।’
প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, প্রতিটি সময়ে তখন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে হয়েছে বা কোন দুর্যোগ এসেছে যুবলীগ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। প্রতিটি সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে যুবলীগ। যুবলীগ, ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছে এদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।
স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে শহীদ যুবলীগের সদস্য শহীদ নূর হোসেন, বাবুল, ফাত্তাহসহ অগণিত শহীদ তিনি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
স্মৃতিরোমন্থন করে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক/ স্বৈরাচার নিপাত যাক/’বুকে-পিঠে লিখে মিছিলে যোগদারকারি জীবন্ত পোষ্টার নূর হোসেনের কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন,‘আমি তাঁকে সাবধান করেছিলাম, শার্টটা কোমরে বেঁধে আমার কাছে এসে সে শুধু বলেছিল আমার মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দেন আপা আমি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দেব।’
‘আমি বলেছিলাম আমি শহীদ চাই না, গাজী চাই শার্টটা পর- তোমাকে কিন্তু গুলি করবে,’ বলেন প্রধানমন্ত্রী। কিছুক্ষণ পরেই চারদিকে বোমা ও গুলির আওয়াজ। তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করেও গুলি করা হয়েছিল, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
অনেক সংগ্রামের মধ্যদিয়েই তাঁর দল আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনগুলোর মাধ্যমে দেশ গণতন্ত্রের ধারায় ফিরেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেই কঠিন পথ আমরা পার হতে পেরছি বলেই জনগণের জন্য কাজ করত পেরেছি এবং আজকে তাঁদের পাশে দাঁড়াতে পেরেছি।
বাসস/এএসজি-এফএন/১৯০০/-আরজি