বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সুফল পেতে মহাকাশ আইনে গুরুত্ব দিতে হবে : সেমিনারে বক্তারা

215

ঢাকা, ১৭ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : রাজধানীতে আয়োজিত এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে মহাকাশ বিশেষজ্ঞরা উচ্চশিক্ষায় ‘মহাকাশ আইন’ সংক্রান্ত পাঠ্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
তারা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সুফল ও বৈশ্বিক উন্নয়নে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করতে মহাকাশ আইনের (স্পেস ল) বিষয়েও জোর দিতে হবে।
বক্তারা আজ শুক্রবার গ্রিন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগ আয়োজিত ‘স্পেস ল’ : ইম্লিকেশন ইন ডেভেলপিং কান্ট্রিস’ শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সেমিনারে এ কথা বলেন।
স্যাটেলাইট পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের ৫৭তম দেশ হিসেবে পরিচিতি পেলেও ‘মহাকাশ আইন’ নিয়ে গবেষণার পরিধি অনেকাংশেই অসম্পূর্ণ থেকে গেছে উল্লেখ করে বিশেষজ্ঞরা বলেন, উচ্চশিক্ষায় এ সংক্রান্ত পাঠ্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করে সে-চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
গ্রিন ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সামদানী ফকিরের সভাপতিত্বে এ সেমিনারে জার্মানীর কোলন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ এয়ার এ্যান্ড স্পেস ল’র অধ্যাপক স্টিফান হোবে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ফৈয়াজ খান, বিটিআরসি’র কমিশনার আমিনুল হাসান, প্রথম আলোর যুগ্ম-সম্পাদক মিজানুর রহমান খান, গ্রিন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. পারভেজ আহমেদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধে বলা হয়, বাংলাদেশকে মহাকাশের সুফল পেতে হলে অবশ্যই এ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক চুক্তিসমূহে অনুসাক্ষর করতে হবে। পাশাপাশি মাহাকাশ বিষয়ক আইন প্রণয়ন করাও জরুরি।
ড. পারভেজ আহমেদ উচ্চশিক্ষায় মহাকাশ আইনের অন্তর্ভুক্তি এবং এ সংক্রান্ত কারিগরি শিক্ষা প্রদানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান। তিনি জানান, গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে ‘স্পেস ল’র ওপর বিশেষ কোর্স এবং এ সংক্রান্ত একটি সেন্টার চালু রয়েছে।
সেমিনারে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এবং মহাকাশে বাংলাদেশের স্পেস নিয়ে করণীয় সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।