বাসস ক্রীড়া-১৩ : আমরা খর্বশক্তির নই প্রমাণ করেছি : ব্র্যাথওয়েট

145

বাসস ক্রীড়া-১৩
ক্রিকেট-ও.ইন্ডিজ-খর্বশক্তি
আমরা খর্বশক্তির নই প্রমাণ করেছি : ব্র্যাথওয়েট
চট্টগ্রাম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ (বাসস): নিজদেরকে ‘আত্মবিশ্বাসী দল’ উল্লেখ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট বলেছেন, এখন সবাই প্রমান পেয়েছে যে ‘ মানুষ আমাদেরকে যে রকম খর্ব শক্তির দল মনে করে আমরা তা নই’।
কোভিড-১৯ শংকায় দলের নিয়মিত একাদশের ১২ জন ক্রিকেটারকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ সফরে দল পাঠিয়েছে ক্যারিবীয়রা। যে তালিকায় টেস্ট অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ও ওয়ানডে অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড যেমন রয়েছেন তেমনি আছেন তারকা খ্যাতি পাওয়া শাই হোপ, এভিন লুইস, সিমরন হেটমায়ারসহ বেশ কিছু প্রথম সারির ক্রিকেটার।
বাংলাদেশ সফরের শুরুতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ক্যারিবীয়রা হোয়াইট ওয়াশ হলে দলটির গায়ে ‘খর্ব শক্তি’ ট্যাগ স্থায়িহয়ে যায়। এই টেস্ট সিরিজে ক্যারিবীয়রা জয় পেতে পারে এমন চিন্তা কখানো কারো মধ্যে ঠাই পায়নি। কারণ এর আগে ২০১৮ সালে বাংলাদেশী স্পিনারদের ছোবলে দুই ম্যাচের সিরিজে স্বাগতিকদের কাছে পরাজিত হয়েছিল পুর্ন শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আজ ম্যাচ শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট বলেন,‘ এই দলটিকে আমি খর্ব শক্তির বলতে চাই না। দলটিকে নিয়ে আসার সময় আমি খুব আত্মবিশ^াসী ছিলাম। ২০১৮ সালে আমরা পরাজিত হয়েছিলাম। যে কারণে এবার ভাল করার প্রত্যয় ছিল আমাদের মধ্যে।’
অবশ্য এই ম্যাচে সাকিব আল হাসানের সার্ভিস থেকে বঞ্চিত হয়েছে টাইগাররা। প্রথম ইনিংসে ছয় ওভার বল করার পরেই উরুর ইনজুরিতে পড়েছেন দেশ সেরা এই অল রাউন্ডার। সেটিকে কাজে লাগিয়ে উপমহাদাশের ইতিহাসে ৩৯৫ রানকে তাড়া করে ম্যাচ জয়ের অনন্য এক কীর্তি গড়ে ক্যারিবীয়রা। শুধু তাই নয়, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এটি হচ্ছে পঞ্চম সর্বোচ্চ রানকে তাড়া করে জয় পাবার ঘটনা। অভিষেক পাওয়া কাইল মায়ার্সের অপরাজিত ২১০ রানের দানবীয় ইনিংস এর পাশাপাশি আরেক অভিষিক্ত ক্যারিবীয় এনক্রুমা বোনার এর ৮৬ রানের পুঁজি ম্যাচ জয়কে তরান্বিত করেছে।
৫৯ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দুইজন মিলে চতুর্থ উইকেটে ২১৬ রানের জুটি গড়েন । ঐতিহাসিক এই জয় নিশ্চিতের জন্য তারা বাংলাদেশকে পুরো দুটি সেশন একেবারেই নিস্ক্রিয় করে রেখেছিল।
ব্র্যাথওয়েট বলেন,‘ প্রথম দিন থেকেই আমি এই দলটির উপর আস্থা রেখেছিলাম। এটি শুধুমাত্র নিজেদের উপর আস্থা রেখে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা। আর এর ফল আমরা লাভ করলাম পঞ্চম দিনে এসে। বিকেলে শুরুতে তিনটি উইকেট হারিয়ে আমরা কিছুটা ছন্দ হারিয়েছিলাম। তবে পিচ দারুন সহায়তা করেছে। আমরা জানতাম ম্যাচটি হবে উন্মুক্ত। নিজেদের পরিকল্পনায় আস্থা ছিল। আর বোনার ও মায়ার্স পরিকল্পনায় ছিল একেবারেই অবিচল। যেটি বেশ কার্যকর হয়েছে।’
সবশেষে ক্যারিবীয় অধিনায়ক বলেন,‘ প্রথম ইনিংসে নিজের ৭৬ রানের সংগ্রহেও আমি খুশি ছিলাম। জার্মেইন ব্ল্যাকউড, মায়ার্স ও জসুয়া ডি সিলভা ও ভাল খেলেছে। বোলাররাও এক মুহুর্তের জন্য হাল ছাড়েনি। শ্যানন গাব্রিয়েল, কেমার রোচ এবং স্পিনারদের সবাই ভাল করেছে। ওভার প্রতি তারা তিন রানের মধ্যে প্রতিপক্ষকে আটকে রেখেছে।’
বাসস/এসএমপি/এমএইচসি/১৯৫০/স্বব