বাসস দেশ-৪৪ : বাক্ ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য ইশারা ভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হবে শিগগিরই : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

145

বাসস দেশ-৪৪
বাক ও শ্রবণ-ইনিস্টিটিউট
বাক্ ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য ইশারা ভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হবে শিগগিরই : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, বাক্ ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য শিগগিরই ইশারা ভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করা হবে।
মন্ত্রী আজ জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ‘বাংলা ইশারা ভাষা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে প্রধান অতিথি হিসেবে সভায় যুক্ত থেকে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সাংবিধানিকভাবে প্রতিবন্ধীদের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। তারা আজ সমাজের বোঝা নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা উদ্যোগের কারণে প্রতিবন্ধীরা আজ সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া কেউ প্রতিবন্ধীদের জন্য কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। বর্তমান সরকার তাদেরকে সমান সুযোগ দিতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। ফলে, তারা কর্মক্ষম মানুষ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।
তিনি সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের উন্নয়নের মূল¯্রােতে অন্তর্ভুক্ত করতে তাদের জন্য সরকারের গৃহীত প্রতিটি কর্মসূচি সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানান।
বাক্ ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্যয়বহুল কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্টের পাশাপাশি তাদেরকে বিভিন্ন সহায়ক উপকরণ প্রদান করা হচ্ছে বলেও মন্ত্রী জানান।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, বাক্ ও শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের যদি সমাজের মূল ¯্রােতধারায় নিয়ে আসতে হয় এবং তাদের পেশাগত ও শিক্ষাগত উন্নয়ন করতে হয় তাহলে নিশ্চিতভাবে ইশারা ভাষার উন্নয়ন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এক্ষেত্রে বাংলা ইশারা ভাষার একটি প্রমিত রূপ প্রণয়নের জন্য তিনি আহ্বান জানান।
জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনিছুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বেগম মাহফুজা আখতার।
পরে বাক্ ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী কৃতী শিক্ষার্থীদের মধ্যে আর্থিক প্রণোদনা ও শ্রবণযন্ত্র বিতরণ করা হয়।
বাসস/তবি/এসএস/১৯৩১/এএএ