বাসস ক্রীড়া-১০ : আমার এই ইনিংস তরুণদের কঠোর পরিশ্রম করতে উদ্বুদ্ধ করবে : মায়ার্স

113

বাসস ক্রীড়া-১০
ক্রিকেট-মেয়ার্স-সর্বোচ্চ
আমার এই ইনিংস তরুণদের কঠোর পরিশ্রম করতে উদ্বুদ্ধ করবে : মায়ার্স
চট্টগ্রাম, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ (বাসস): কাইল মায়ার্স যে এই মুহুর্তে বিশে^র সবচেয়ে সুখি ব্যক্তি তাতে কোন সন্দেহ নেই। কারণ অভিষেকেই তার করা জোড়া সেঞ্চুরিতে ভর করে আজ চট্টগ্রামে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে স্বাগতিক বাংলাদেশকে তিন উইকেটে হারিয়েছে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই জয়ে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ক্যারিবীয়রা।
অসাধারণ এই ইনিংসটিকে কঠোর পরিশ্রমের ফসল বলে মন্তব্য করেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই তরুণ তারকা। যা সারা বিশে^র উদীয়মান ক্রিকেটারদের অনুপ্রানীত করবে। ম্যাচ শেষে মায়ার্স বলেন,‘ একজন ক্রিকেটারের অভিষেকে ডাবল সেঞ্চুরি অন্য তরুণদের কঠোর পরিশ্রম করতে অনুপ্রানীত করবে। যাতে সে ওই পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে।’
মায়ার্সের ৩১০ বলে ২১০ রানের অপরাজিত ইনিংসটি সাজানো ছিল ৭ ছক্কা ও ২০ বাউন্ডারিতে । শুধু তাই নয়, টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৪ বছরের ইতিহাসে অভিষেকে চতুর্থ ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া প্রথম ব্যাটসম্যান মায়ার্স।
এই নিয়ে মাত্র ছয় ব্যাটসম্যান অভিষেক টেস্টে চতুর্থ ইনিংসে দ্বিশতক পুর্ন করেছেন। এরা হলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জর্জ হ্যাডলি, গর্ডন গ্রিনিজ ও মায়ার্স, ভারতের সুনীল গাভাস্কার, নিউজিল্যান্ডের নাথান অ্যাস্টল ও ইংল্যান্ডের বিল এডরিচ। এদের মধ্যে শুধুমাত্র মায়ার্স ও তার স্বদেশী বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক কোচ গর্ডন গ্রিনিজ শুধুমাত্র নিজ দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে পেরেছেন।
মায়ার্স বলেন,‘ আমি সব সময় ইতিবাচক একজন মানুষ। আমি সব সময় দল ও নিজের উপর আস্থাশীল এবং জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ছিলাম। আমি একবারের জন্যও হাল ছাড়িনি। ড্রেসিং রুমে আমরা বার বার বলছিলাম, আমাদের লড়াই করতে হবে। কোচ ও অধিনায়কও বলেছেন, এ ধরনের পিচ ও বোলারদের বিপক্ষে তোমাকে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’
কোভিড -১৯ সংক্রমনের ভয়ে দলের নিয়মিত একাদশের বেশীরভাগ ক্রিকেটার বাংলাদেশ সফরে আসতে অনীহা প্রকাশ করায় জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়ে যান বার্বাডোজের বাসিন্দা ২৮ বছর বয়সি মায়ার্সসহ আরো কিছু তরুণ ক্রিকেটার ।
৩ উইকেটে ১১০ রান তুলে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু চতুর্থ উইকেটে ৪৪২ বলে ২১৬ রানের অবিশ্বাস্য জুটি গড়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন দুই অভিষিক্ত মায়ার্স ও এনক্রুমা বোনার। প্রথম দুই সেশনে তারা কোনো উইকেট না হারানোতে ম্যাচে মানষিকভাবে এগিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
মোস্তাফিজুর রহমানকে তার প্রথম ওভারে ছক্কা মেরেছেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মায়ার্স। মিরাজ ও তাইজুলের খাটো লেংথের বল লেগ ও অফ সাইড দিয়ে পাঠিয়েছেন সীমানার ওপারে। আবার ভালো বল আসলেই দারুন সাবধানতা অবলম্বন করে খেলেছেন তিনি। এ কৌশলে ব্যাট করেই অভিষেক টেস্টে স্মরনীয় এক ইনিংস খেলেন মায়ার্স।
আগের রাতে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক পেসার এজরা মোসেলের স্মরণে আজ কালো ব্যাজ ধারণ করে মাঠে নামা ক্যারিবীয়রা এ সময় ছিলেন দারুন আবেগতাড়িত। খেলা শেষে মায়ার্স আরো বলেন,‘ শ্যানন (গাব্রিয়েল) দারুন খেলেছেন। টেস্ট ক্রিকেট খেলার অনুভুতিই অসাধারণ। সঙ্গে ছিল প্রথমে সেঞ্চুরি পুর্ন করা এবং পরে দ্বিশতক এবং সর্বোপরি দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়া। এ জন্য আমি সতীর্থ, কোচ এবং আমাকে সহায়তা করে যাওয়া পরিবারের সদস্যদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। ’
বাসস/এসএমপি/এমএইচসি/১৯০৬/স্বব