বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় বান্ধবী নেহা ৫ দিনের রিমান্ডে

241

ঢাকা, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় নিহতের বান্ধবী ফারজানা জামান নেহার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার নেহাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তার বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর আজিমপুর এলাকার একটি বাসা থেকে নেহাকে গ্রেফতার করা হয়। মামলায় তিনি এজাহারভূক্ত আসামি। এ নিয়ে এ মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হলো। এরআগে গ্রেফতারকৃত দু’আসামি রিমান্ডে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসির আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন আরেক আসামি শাফায়াত জামিল (২২)।
এরআগে এ মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি তার দু’বন্ধু মুর্তজা রায়হান চৌধুরী ও নুহাত আলম তাফসীরের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেছিলেন নিহতের বাবা। মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতনামা একজনকে আসামি করা হয়।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি বিকেলে মর্তুজা রায়হান ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আরাফাতের বাসায় যান। সেখানে স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই শিক্ষার্থী এবং রায়হান একসঙ্গে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং একজন সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই শিক্ষার্থীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদপান করান।
মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, মদপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করেন রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও কক্ষে ছিলেন।
ধর্ষণের পর রাতে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন করেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে তাকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। দু’দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর তার মৃত্যু হয়।