বাসস দেশ-৫৪ : বাংলাদেশ-নেপাল বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি : নেপালের রাষ্ট্রদূত

152

বাসস দেশ-৫৪
বাণিজ্য-নেপাল
বাংলাদেশ-নেপাল বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি : নেপালের রাষ্ট্রদূত
সিলেট, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস): বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ড.বংশীধর মিশ্র বলেছেন, নেপাল বাংলাদেশের প্রতিবেশী ও বন্ধু রাষ্ট্র। তাই দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে আমরা গুরত্বের সঙ্গে কাজ করছি।
তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে অতিশীঘ্রই বাংলাদেশ-নেপাল চেম্বার অব কমার্স গঠিত হতে যাচ্ছে। এতে বাংলাদেশ ও নেপালের ব্যবসায়ীগণ অন্তর্ভুক্ত থাকবেন। এই সংগঠনের মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্য ও শিল্প উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাষ্ট্রির নেতৃবৃন্দের সাথে চেম্বার কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত এক মত বিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নেপালের রাষ্ট্রদূত একাত্তরে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা স্মরন করে বলেন, বাঙালি জনতার দুর্বার প্রতিরোধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ নেপালের গণতন্ত্রকামী মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে। তখন নেপালে রাজতন্ত্র ছিল। ২০০৮ সাল থেকে নেপাল প্রজাতন্ত্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যবর্তী সর্বনিম্ন দূরত্ব মাত্র ৩৭ কিলোমিটার। কিন্তু নেপালের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আশানুরূপ নয়। তার কারণ ট্যারিফ সংক্রান্ত কিছু জটিলতা রয়েছে। এই সমস্যাগুলো নিরসনে দুদেশ কাজ করছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে আগামী অক্টোবর মাসে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে অন এরাইভ্যাল ভিসা সিস্টেম রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আমরা দুই দেশের মধ্যে পর্যটন ও বাণিজ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে পারি।
তিনি বাংলাদেশী আমদানিরকারকদেরকে নেপাল থেকে ফলমূল ও শাক-সবজি আমদানি করার আহবান জানিয়ে বলেন, নেপালে ফলমূল এবং শাক-সবজির দাম বাংলাদেশের বাজার থেকে তুলনামূলকভাবে কম। তাই বাংলাদেশী আমদানিরকারকরা নেপাল থেকে ফলমূল ও শাক-সবজি আমদানি করতে পারেন। এতে দুদেশই লাভবান হবে।
তিনি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, বাংলাদেশের সাথে নেপালের রেল যোগাযোগ স্থাপন করা গেলে দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো প্রসারিত ও জোরদার হবে।
সভায় সিলেটের স্থানীয় বক্তাগণ সিলেট সহ বাংলাদেশের শিল্প, কৃষি, পর্যটন ও শিক্ষাখাতের উন্নয়ন ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, সিলেটে অনেকগুলো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ রয়েছে। যেগুলো থেকে নেপালের ছাত্র-ছাত্রীরা কমখরচে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন। এছাড়াও সিলেট থেকে কৃষি যন্ত্রপাতি ও কৃষি পণ্য আমদানি করতে পারেন। সিলেটের শিল্প মালিকগণ নেপালের রাষ্ট্রদূতকে সিলেটের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো সফরের অনুরোধ জানান।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বারের সভাপতি আবু তাহের মো. শোয়েব বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। বিশেষ করে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য বর্তমান সরকার অত্যন্ত আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, বর্তমানে সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৭০০ নেপালি ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করছে। আমরা আশাবাদী ভবিষ্যতে নেপাল থেকে আরো শিক্ষার্থী বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে উৎসাহী হবে।
বাসস/সংবাদদাতা/২০৪৫/-শআ