চট্টগ্রাম টেস্ট : চাপে বাংলাদেশ

322

চট্টগ্রাম, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। চা-বিরতি পর্যন্ত ৫৮ ওভারে ৪ উইকেটে ১৪০ রান তুলেছে টাইগাররা। প্রথম সেশনের মত দ্বিতীয় সেশনেও ২ উইকেট হারিয়ে এখন চাপে বাংলাদেশ। মধ্যাহ্ন-বিরতি পর্যন্ত ২৯ ওভারে ২ উইকেটে ৬৯ রান করেছিলো বাংলাদেশ।
প্রত্যাবর্তন টেস্টে সাকিব আল হাসানসহ চার স্পিনার ও এক পেসার নিয়ে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে নামে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ইনিংস শুরু করেন দুই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান সাদমান ইসলাম ও তামিম ইকবাল।
ইনিংসের প্রথম ডেলিভারিতে কভার দিয়ে দারুন এক শটে বাউন্ডারি আদায় করে নেন সাদমান। এরপর সাদমানের ব্যাট থেকে আরও ১টি ও তামিমের ২টি চার মারেন। এতে ৪ ওভার শেষে ২৩ রান পেয়ে যায় বাংলাদেশ। এই স্কোরে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন স্বাগতিক দুই ওপেনার।
কিন্তু পঞ্চম ওভারের তৃতীয় বলে ৯ রান করা তামিমকে বোল্ড করে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডান-হাতি পেসান কেমার রোচ।
দলীয় ২৩ রানে প্রথম উইকেট পতনের পর উইকেটে আসেন আরেক বাঁ-হাতি নাজমুল হোসেন শান্ত। মুখোমুখি হওয়া চতুর্থ বলেই বাউন্ডারি দিয়ে রানের খাতা খুলেন শান্ত। এরপর সাদমানকে নিয়ে দক্ষতার সাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের সামাল দেন শান্ত। ১৮তম ওভারে দলের স্কোর ৫০ স্পর্শ করেন সাদমান-শান্ত।
তবে ২৪তম ওভারের প্রথম বলে সাদমানের সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউটের ফাঁদে পড়েন শান্ত। ৩টি চারে ৫৮ বলে ২৫ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে সাদমানের সাথে ১১২ বলে ৪৩ রান যোগ করেন শান্ত।
শান্তর আউটের পর ক্রিজে আসেন অধিনায়ক মোমিনুল হক। মধ্যাহ্ন বিরতির আগ পর্যন্ত আর কোন উইকেটের পতন ঘটেনি। সাদমান ৮২ বলে ৪টি চারে ৩৩ ও মোমিনুল ২ রান নিয়ে বিরতিতে যান।
বিরতির পর ফিরে সাবধানতার সাথেই খেলছিলেন সাদমান ও মোমিনুল। ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাঁ-হাতি স্পিনার জোমেল ওয়ারিকানকে বাউন্ডারি মেরে সপ্তম টেস্টে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন সাদমান। ২০১৮ সালে মিরপুরে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকেই হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ৭৬ রান করেছিলেন তিনি। এরপর ১০ ইনিংসে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি সাদমান।
১২৮তম বলে সাদমানের হাফ-সেঞ্চুরি পর প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন অধিনায়ক মোমিনুল। ধৈর্য্যর পরীক্ষা দিয়ে খেলতে থাকা মোমিনুল খেই হারিয়ে ফেলেন। ওয়ারিকানের বলে শর্ট মিডউইকেটে জন ক্যাম্পবেলকে ক্যাচ দেন মোমিনুল। ৯৭ বলে ২টি চারে ২৬ রান করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। সাদমানের সাথে ১৬৭ বল খেলে ৫৩ রান যোগ করেছিলেন মোমিনুল।
অধিনায়ককের পতনের পর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে চা-বিরতিতে যাবার স্বপ্ন দেখছিলেন সাদমান। কিন্তু সেটি হতে দেননি ওয়ারিকান। বিরতি হবার ১০ বল আগে সাদমানকে লেগ বিফোর ফাঁদে ফেলেন ওয়ারিকান। ১৫৪ বলে ৬টি চারে ৫৯ রান করেন সাদমান।
এতে মুশফিক ৯ ও ছয় নম্বরে নামা সাকিব আল হাসান ৩ রানে অপরাজিত থেকে চা-বিরতিতে যান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ারিকান ২টি ও রোচ ১টি উইকেট নেন।