বাসস দেশ-৭ : নওগাঁয় আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১ হাজার ৪৬০টি পরিবারকে পুনর্বাসন

113

বাসস দেশ-৭
আশ্রয়ণ প্রকল্প
নওগাঁয় আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১ হাজার ৪৬০টি পরিবারকে পুনর্বাসন
নওগাঁ, ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : জেলায় দুই ধাপে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ১০৫ দশমিক ৪৭ একর জমির উপর নির্মিত ২২২টি ব্যারাক হাউজে ১ হাজার ৪শ ৬০টি পরিবারকে আশ্রয় দিয়ে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ৪৫ দশমিক ৮৬ একর জমির উপর নির্মিত ৩৫টি ব্যারাক হাউজে ৩৫০টি পরিবার এবং দ্বিতীয় ধাপে ৫৯ দশমিক ৬১ একর জমির উপর নির্মিত ১৮৭টি ব্যারাক হাউজে ১ হাজার ১শ ১০টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। ডিসেম্বর’২০২০ মাস পর্যন্ত এ পুনর্বাসন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ হারুন-অর-রশীদ জানিয়েছেন এসব প্রকল্পে গৃহনির্মাণ ছাড়াও পুকুরে মৎস্যচাষ ও গবাদি পশু পালনের মাধ্যমে এসব পরিবারকে স্বাবলম্ব ী করে দেয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে যথাযথ যাচাই বাছাই করে প্রকৃত উপকারভোগীদের আশ্রয়ণ প্রকল্পে গৃহ প্রদান করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসকের দেয়া তথ্য মধ্যে প্রথম ধাপে উপজেলা ভিত্তিক জমি, ব্যারাক হাউজ এবং পুনর্বসিত পরিবারের সংখ্যা হচ্ছে সাপাহার উপজেলার রামরামপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১৩ দশমিক ৬৫ এক জমির উপর নির্মিত ৭টি ব্যারাক হাউজে ৭০টি পরিবার।
রানীনগর উপজেলায় পারইল আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩ দশমিক ২৫ একর জমির উপর নির্মিত ২টি ব্যারাক হাউজে ২০টি পরিবার ও মধুপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১ দশমিক ০৫ একর জমির উপর নির্মিত ২টি ব্যারাক হাউজে ২০টি পরিবার।
নিয়ামতপুর উপজেলায় গুড়িহারী আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৮ দশমিক ৭৯ একর জমির উপর নির্মিত ১টি ব্যারক হাউজে ১০টি পরিবার।
মান্দা উপজেলায় চকমনোহরপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১ দশমিক ৭৪ এর জমির উপর নির্মিত ২টি ব্যারাক হাউজে ২০টি পরিবার ও কালীসফা আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৫ দশমিক ৭৪ একর জমির উপর নির্মিত ৭টি ব্যারাক হাউজে ৭০টি পরিবার।
ধামইরহাট উপজেলায় জগতনগর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৮ দশমিক ৯৭ একর জমির উপর নির্মিত ৭টি ব্যরাক হাউজে ৭০টি পরিবার।
পোরশা উপজেলায় ছয়ঘাটি ১ ও ২ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২ দশমিক ৬৭ একর জমির উপর নির্মিত ৭টি ব্যারাক হাউজে ৭০টি পরিবার।
দ্বিতীয় ধাপে ধামইরহাট উপজেলায় রসপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৭ দশমিক ৩১ একর জমির উপর নির্মিত ১০টি ব্যারাক হাউজে ১০০টি পরিবার, পূর্ববনগ্রাম আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৫ দশমিক ৪০ একর জমির উপর নির্মিত ৫৪টি ব্যারাক হাউজে ২৭০টি পরিবার।
বদলগাছি উপজেলায় কিশমত পাঁচঘরিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২ দশমিক ১০ একর জমির উপর নির্মিত ১৪টি ব্যারাক হাউজে ৭০টি পরিবার, মামুদ বিলা আশ্রয়ণ প্রকল্পে ২ দশমিক ৪০ একর জমির উপর নির্মিত ১৬টি ব্যারাক হাউজে ৮০টি পরিবার, নহেলা কাষ্টগাড়ি-১ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৩ দশমিক ৮০ একর জমির উপর নির্মিত ১৯চি ব্যারাক হাউজে ৯৫টি পরিবার, নহেলা কাষ্টগাড়ি-২ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৪ দশমিক ৫০ একর জমির উপর নির্মিত ১২টি ব্যারাক হাউজে ৬০ট পরিবার।
রানীনগর উপজেলায় বেলঘরিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১ দশমিক ৬৪ একর জমির উপর নির্মিত ৪টি ব্যারকা হাউজে ২০টি পরিবার।
পোরশা উপজেলায় সড়াইগাছি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১ দশমিক ৭৭ এর জমির উপর নির্মিত ১০টি ব্যারাক হাউজে ৫০টি পরিবার।
মহাদেবপুর উপজেলায় চকহরিবল্লভ আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৫ দশমিক ৯৩ একর জমির উপর নির্মিত ১৪টি ব্যারাক হাউজে ১৪০টি পরিবার ও রনাইল আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১ দশমিক ১২ একর জমির উপর নির্মিত ৬টি ব্যারাক হাউজে ৩০টি পরিবার।
পতœীতলা উপজেলায় বাঁকরইল আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৯ দশমিক ৮২ একর জমির উপর নির্মিত ১২টি ব্যারাক হাউজে ১২০টি পরিবার।
নিয়ামতপুর উপজেলায় বেলগাপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৫ দশমিক ৯৯ একর জমির উপর নির্মিত ১১টি ব্যারাক হাউজে ৫৫টি পরিবার এবং আত্রাই উপজেলায় নৈদিঘী আশ্রয়ণ প্রকল্পে ০ দশমিক ৬০ এর জমির উপর নির্মিত ৫টি ব্যারাক হাউজে ২০টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে।
বাসস/এনডি/সংবাদদাতা/১৩০০/নূসী