বাসস দেশ-১২ : চুয়াডাঙ্গায় শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত

137

বাসস দেশ-১২
শৈত্য প্রবাহ-
চুয়াডাঙ্গায় শৈত্য প্রবাহ অব্যাহত
চুয়াডাঙ্গা, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : গত কয়েকদিন থেকে তীব্র থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে এ জেলায়। ঘণ কুয়াশা ও হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এখানকার জীবনযাত্রা। সকালে সূর্যের দেখা মিললেও হিম বাতাসে বেড়েছে দুর্ভোগ।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানান চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলেও জানান তিনি। তিনি আরও জানান, গতকাল সোমবার চুয়াডাঙ্গায় চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা তীব্র শৈত্যপ্রবাহ। গত কয়েকদিন থেকে তাপমাত্রা ৫.৭ থেকে ৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠানামা করছে। দিন শেষে নেমে যাচ্ছে পারদ। তাই সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। চলমান শৈত্যপ্রবাহ আরও বেশ কয়েক দিন থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
হাড় কাঁপানো শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষ। প্রচন্ড ঠান্ডায় সময়মত কাজে যেতে পারছেন না তারা। একটানা শীতের প্রকোপ বাড়ায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। খড়-কুটো জ্বালিয়ে কোনো রকম শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখা গেছে এদের।
আলমডাঙ্গার কুলপালা গ্রামের শ্রমিক আব্দার আলী জানান, প্রতিদিন যে শীত পড়চি তাতে আর বাঁচা যাচ্চি না। শীতের কাপুড় নেই তাই সকাল থেকিই আগুন পুয়াতি হচ্চি।
দামুড়হুদার বিষ্ণুপুর গ্রামের শ্রমিক আশাদুল হক জানান, আমার অভাবের সংসার। প্রতিদিন কাজ খুঁজতি শহরে আসি। কিন্তু কুনুদিন কাজ পাই আবার কুনুদিন কাজ না পেয়ি বাড়ি যেতি হয়। খুব সকালে শীতের মদ্দি কাজ খুঁজতি এসি কাজ না পেয়ি বাড়ি যাওয়ার সুমায় খুব কষ্ট লাগে।
এদিকে, শীত বাড়ার সাথে সাথে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগীর সংখাও বৃদ্ধি পেয়েছে। কয়েকদিন ধরে চলা শীতের প্রকোপে জ্বর, স্বর্দি, কাঁশিসহ ঠান্ডাজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সাজিদ হাসান জানান, গত তিনদিনে সদর হাসপাতালের বহি:বিভাগ থেকে শিশুসহ ৮০০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। আর প্রতিদিন আন্তঃবিভাগে ভর্তি হচ্ছে ৭০- ৮০ জন। শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেই ঠান্ডাজনিত রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এসময় বাড়তি সতর্কতার পাশাপাশি শিশু ও বয়স্কদের গরম কাপড় পরিধান করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান জানান, শীতের কারণে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ও ৩টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তাদের নিয়মিত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসকরা। শীতের মধ্যে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি কমাতে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে।
বাসস/এনডি/সংবাদদাতা/১৪৪৫/নূসী