চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত একশ’

321

চট্টগ্রাম, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে একটানা ১৯ দিন পর করোনাভাইরাসে সংক্রমিতের সংখ্যা একশ’ অতিক্রম করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১ হাজার ৫৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০৮ জন পজিটিভ চিহ্নিত হন। সংক্রমণ হার ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। এ সময় করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৫৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন ১০৮ জনের দেহে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৪ জন ও ১১ উপজেলার ৩৪ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে সর্বোচ্চ আনোয়ারায় ১২ জন। এছাড়া, হাটহাজারীতে ৯ জন, পটিয়ায় ৩ জন, ফটিকছড়ি ও বোয়ালখালীতে ২ জন করে এবং রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, সীতাকু-, মিরসরাই, লোহাগাড়া ও সাতকানিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৩৩ হাজার ১৩৫ জন। এর মধ্যে শহরের ২৫ হাজার ৮৮৪ জন ও গ্রামের ৭ হাজার ২৫১ জন।
গতকাল করোনাক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। মৃতের সংখ্যা ৩৬৯ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ২৬৮ জন ও গ্রামের ১০১ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৫২ জন। মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৩০ হাজার ৮৪৭ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ২২৭ জন। বাসা থেকে ২৬ হাজার ৬২০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ১৪ জন ও ছাড়পত্র নেন ৩০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ২৫৯ জন।
চট্টগ্রামে সর্বশেষ একশ’র বেশি ভাইরাসবাহক শনাক্ত হয় ১২ জানুয়ারি। সেদিন ২ রোগীর মৃত্যু হয়। সংক্রমণের হার ছিল ১০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। এ ঊনিশ দিনে সর্বোচ্চ ৯৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে ১৮ জানুয়ারি। সংক্রমণ হার ৬ দশমিক ৭২ শতাংশ। করোনায় আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যু হয়। এছাড়া, তিন মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ সংক্রমণ শনাক্ত হয় ২৯ জানুয়ারি। এদিন ১ হাজার ৩১০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩২ জন পজিটিভ চিহ্নিত হন। সংক্রমণ হার ছিল করোনাকালের সর্বনি¤œ ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। গত আটদিন করোনায় আক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়। এতে ১ হাজার ১৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৭ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১৬৩ জনের নমুনার মধ্যে ১৮ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৫৯ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৩০টি নমুনার ৭টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে ১২১ নমুনায় ৬টি এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১৫টির ২টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এদিন চট্টগ্রামের ১১৪ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই ফলাফল নেগেটিভ আসে। তবে আরটিআরএল ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট পর্যবেক্ষণে বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ৬৭ শতাংশ, চমেকে ১১ দশমিক ০৪, চবি’তে ৪৬ দশমিক ০৯, সিভাসু’তে ২৩ দশমিক ৩৩, শেভরনে ৪ দশমিক ৯৬ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।