শরীয়তপুরের তুলাসার বাওরে ঝাঁকে ঝাঁকে আসছে অতিথি পাখি

504

॥ এস এম মজিবুর রহমান ॥
শরীয়তপুর, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাসার বাওরসহ জেলার আরও অন্তত ১৪টি জলাশয়ে শতাব্দীরও বেশি সময় থেকে আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে প্রায় ২৫ প্রজাতির মনোরম পরিযায়ী পাখি। অতিথি পাখিদের বাহারি সৌন্দর্যে বিমোহিত হচ্ছে দর্শনার্থীরা। সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং সরকারি বেসরকারি বিভাগসহ সকলকে সাথে নিয়ে সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিত করে সহায়ক পরিবেশ তৈরী করে অতিথি পাখিদের আগমনকে উৎসাহিত করে যাবেন বলে জানালেন শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনদীপ ঘরাই বাসস’কে বলেন, শরীয়তপুর সদরের তুলাসার বাওরের আয়তন প্রায় ১২ একর। শীত মৌসুমের শুরু থেকে পরিযায়ী পাখি আসতে শুরু করলেও শীত বাড়ার সাথে সাথে বাড়তে থাকে অতিথি পাখির সংখ্যা। ভিন্ন ভিন্ন রঙ ও আকৃতির অন্তত: ২৫ প্রজাতির পাখি আসে এখানে। তবে পৌষ ও মাঘ মাসের তীব্র শীতে এ তুলাসার বাওর এলাকা পরিযায়ী পাখিদের অবগাহন ও কলকাকলীতে মুখরিত থাকে। এ প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্য দেখে মনের খোরাক যোগাতে ভিড় জমায় হাজারো দর্শনার্থী। অতিথি পাখিদের সুরক্ষায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি দূষণমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাকের সাথে সমন্বয় করে সার্বিক ব্যবহস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
তুলাসার গ্রামের নুরুল ইসলাম সরদার (৫৫) বলেন, শীতের শুরু থেকেই তুলাসার বাওরে আসতে থাকে বিভিন্ন প্রজাতির অতিতি পাখি। তবে পৌষ ও মাঘ মাসে থাকে পাখিদের সর্বোচ্চ সংখ্যা। এসময় সকাল সন্ধ্যা পাখিদের কিচিরমিচির শব্দ শুনতে প্রকৃতি প্রেমী মানুষের ভিড় জমে। আবার চৈত্র মাসের শেষের দিকে পাখিরা এখান থেকে চলে যায়। আমি বুঝতে শেখার পর থেকেই দেখে আসছি এ অতিথি পাখিদের সৌন্দর্য। দশ বছর আগে শিকারীদের আনাগোনা থাকেলেও এখন মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ায় সকলে মিলেই এ অতিথিদের রক্ষায় কাজ করে। তবে এখানকার পরিবেশ অতিথি পাখিদের সহায়ক হিসেবে নিশ্চিত করতে পারলে পাখির সংখ্যা আগামীতে আরো বাড়বে।
সদর উপজেলার কাগদী গ্রামের শিক্ষার্থী মাহাদি হাসান খান ইফাত বলেন, বন্ধুদের মুখে শুনে তুলাসার বাওরের অতিথি পাখিদের কোলাহল দেখতে এসে আমি অভিভূত। এত মনোরম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কখনো দেখেছি বলে মনে পড়েনা। তবে বাওর এলাকাটিকে পরিযায়ী পাখিদের অভয়াশ্রম বানাতে পারলে বাড়বে বাওরের সৌন্দর্য। সাথে সাথে বৃদ্ধি পাবে পর্যটকদের সখ্যাও।