কোহলির টোটকায় বদলে গেছেন ব্ল্যাকউড

261

নয়া দিল্লি, ১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ (বাসস) : ক্যারিয়ার শুরুর পর দলে নিয়মিত হতে পারেননি, তারমধ্যে ২০১৭ থেকে ২০১৯ দুই বছর দলের বাইরে ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডান-হাতি ব্যাটসম্যান জার্মেই ব্ল্যাকউড। তবে ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলির টোটকায় বদলে ফেলেছেন নিজেকে। কোহলির পরামর্শ কাজে লাগিয়ে সর্বশেষ ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে দুর্দান্ত পারফরমেন্স করেছেন ব্ল্যাকউড। সেই ধারাবাহিকতা বাংলাদেশের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজেও অব্যাহত রাখতে চান তিনি।
২০১৪ সালে পোর্ট অব স্পেনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় ব্লাকউডের। ২০১৭ সাল পর্যন্ত ২৭টি টেস্ট খেলেছেন তিনি। ১০টি হাফ-সেঞ্চুরির সাথে ১টি সেঞ্চুরি ছিলো তার। কিন্তু ধারাবাহিকতা ছিলো না ব্লাকউডের। সেই ধারাবাহিকতা আনতে ভারতের অধিনায়ক কোহলির শরনাপন্ন হন তিনি। আর কোহলির পরামর্শ কাজে লাগিয়ে সর্বশেষ ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ মিলিয়ে ১০ ইনিংসে ৩টি হাফ-সেঞ্চুরি ও ১টি সেঞ্চুরিতে ৪২৭ রান করেছে ব্যøাকউড। পরপর দু’টি সিরিজে ধারাবাহিক ছিলেন তিনি।
কোহলির কাছ থেকে কিভাবে পরামর্শ নিয়েছেন সেটিই জানান ব্লাকউড। তিনি বলেন, ‘২০১৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে এসেছিল ভারত। ঐ সফরের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বলেছি। ২০১৯ সালের সিরিজে জ্যামাইকাতে টেস্ট চলাকালীন প্রথমবার কোহলির সাথে সরাসরি কথা বলেছিলাম। ঐ টেস্টে ড্যারেন ব্রাভোর ইনজুরিতে ‘কনকাশন সাব’ হিসেবে মাঠে নেমেছিলাম আমি।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাফ-সেঞ্চুরি সহজে এলেও বড় রান বা ধারাবাহিক হতে পারছিলাম না। তাই দলে নিয়মিত হতে পারছিলাম না। জ্যামাইকার ম্যাচের পর কোহলির সাথে কথা বলি আমি। বন্ধুর মত সেদিন আমার সাথে কথা বলেছিলেন তিনি।’
ব্ল্যাকউড বলেন, ‘তাকে বলেছিলাম, আমি টেস্টে বড় রানের ইনিংস খেলতে চাই। তোমার পরামর্শ প্রয়োজন।’
কোহলির পাল্টা প্রশ্ন ছিলো- ‘শেষবার শতরান করার সময় তুমি কতগুলো বল খেলেছিলে?’ আমি উত্তরে বললাম, ‘২১২ বল খেলেছিলাম।’
আমার কথা শোনার পর কোহলির বলেন, ‘সেঞ্চুরি করার জন্য ২১২ বল খেলতে পারলে তোমার পিচে টিকে থাকার ক্ষমতা আছে। এবার সেটা বাড়ানোর জন্য ধৈর্য্য বজায় রাখতে হবে। ধৈর্য্য বাড়ানোর জন্য যোগ ব্যায়াম ভালো ওষুধ।’
কোহলির কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে ক্যারিয়ারের অনেক উন্নতি ঘটেছে বলে জানান ব্ল্যাকউড। এবারের বাংলাদেশ সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক ব্ল্যাকউড বলেন, ‘সেই ঘটনা আমার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলো। কোহলির বক্তব্য আমাকে মানসিকভাবে চাঙ্গা করেছে। এরপর থেকে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য নেটে অনেক বেশি ব্যাটিং করা ছাড়াও ফিটনেস বাড়ানোর জন্য যোগ ব্যায়াম ও জিমে নিজেকে ব্যস্ত রাখি। এর সুফলও পাচ্ছি। এখন শট বাছাই অনেক ভাল হয়েছে। তাই কোহলির প্রতি চিরকৃতজ্ঞ।’
আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু করবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।