ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে আমাদের সেরাটা খেলতে হবে : মিনহাজুল

335

চট্টগ্রাম, ৩১ জানুয়ারি ২০২১ (বাসস) : ওয়ানডের তুলনায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আসন্ন দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে বলে মনে করেন জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে উপরের সারির ১২ জন খেলোয়াড় ছিলেন না। টেস্ট দলটিও বেশক’জন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়কে মিস করেছে। তারপরও ওয়ানডে দলের চেয়ে টেস্ট দলটি কিছুটা অভিজ্ঞ। কারন বাংলাদেশের ২০ উইকেট নেয়ার মত সামর্থ্য তাদের বোলারদের রয়েছে।
বাংলাদেশ টেস্ট দলের বেশ কয়েকজনকে অন্তর্ভুক্ত করে গঠিত বিসিবি একাদশের বিপক্ষে তিন দিনের একমাত্র প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে নিজেদের প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলাররা।
প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে সফরকারীদের পারফরমেন্স দেখে প্রধান নির্বাচক বলেন, সাফল্য পেতে হলে তার দলকে সেরা ক্রিকেটই খেলতে হবে।
আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরু করছে বাংলাদেশ। আজ মিনহাজুল বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট সবসময় আলাদা বলের খেলা। এটি এমন ফরম্যাট যা আগ থেকেই আপনি কিছু বলতে পারবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভিজ্ঞতার দিক থেকে ওয়ানডে দলের চেয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট দল অনেক এগিয়ে। বাংলাদেশে আসা তাদের দলে ভারসাম্য রয়েছে এবং তাদের পেসাররাও বেশ অভিজ্ঞ। তাই আমাদের সেরা খেলা খেলতে হবে।’
দলকে সর্তক করলেও প্রধান নির্বাচকের বিশ্বাস টেস্ট সিরিজেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতে সক্ষম বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ‘কোন খেলোয়াড়, কি ধরনের দল এবং কোন ধরনের আক্রমণ ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিয়ে এসেছে, তা উদ্বেগের বিষয় নয়। আমাদের বিশ্বাস আমরা যদি নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারি, তবে টেস্ট সিরিজেও ভাল ফলাফল বের করে আনতে পারবো।’
২০১৮ সালে ঘরের মাঠে পুর্ন শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিলো বাংলাদেশ। সিরিজে বাংলাদেশের জয়ে মুখ্য ভূমিকা রেখেছে স্পিনাররা। দুই টেস্টে ৪০টি উইকেট নিয়েছিলো তারা। মেহেদি হাসান মিরাজ ১৫টি, তার সাথে তালে-তাল মিলিয়ে বাকী ২৫ উইকেট ভাগাভাগি করে নেন অন্য তিন স্পিনার সাকিব আল হাসান-তাইজুল ইসলাম ও নাইম হাসান।
দলের কম্বিনেশন বিষয়ে কিছু খোলাসা না করলেও স্পিন সহায়ক পিচের ইঙ্গিত দিয়েছেন মিনহাজুল। তিনি বলেন, ‘আমরা ঘরের মাঠে যেভাবে সর্বদা খেলি, সেভাবেই খেলবো। তবে এখনই বলা কঠিন (দলের কম্বিনেশন কেমন হবে)। ম্যাচের ২৪ ঘন্টা আগে ম্যাচের একাদশ চূড়ান্ত করবে টিম ম্যানেজমেন্ট। তখনই সিদ্বান্ত নেয়া হবে, কতজন স্পিনার বা কতজন পেসার খেলবে।’
সাকিব-তাইজুল-মিরাজ ও নাইমকে নিয়ে স্পিন আক্রমন বজায় রাখার পাশাপাশি পেসারদেরও খেলাতে পারে বাংলাদেশ। স্কোয়াডটি কেন ১৮ সদস্যের এবং সেখানে পেসারদের উপস্থিতি কেন বেশি সেটিও ব্যাখা দিয়েছেন মিনহাজুল।
তিনি বলেন, ‘প্রথমত কোভিড-১৯ পরিস্থিতির জন্য, আমাদের দলটি বড় করতে হয়েছে কারন আপনি জানেন না, এই পরিস্থিতিতে কি ঘটতে পারে। আর দীর্ঘদিন পর পাঁচদিনের ম্যাচ খেলবো তাই পেসারদের জন্য চাপ তৈরি হতে পারে এমন সম্ভাবনাও রয়েছে। এজন্যই স্কোয়াডে পেসার বেশি, যাতে খেলোয়াড় পরিবর্তনে আমাদের হাতে যথেস্ট পরিমানে বিকল্প থাকে। ইনজুরি অথবা অসুস্থতা ও জৈব-সুরক্ষা পরিবেশের বিষয়ের কারনে তাৎক্ষনিকভাবে খেলোয়াড় পরিবর্তন করা কঠিন।’