জয়ের ধারায় ফিরল লিভারপুল

574

লন্ডন, ২৯ জানুয়ারি ২০২১ (বাসস/এএফপি) : টানা পাঁচ ম্যাচে জয়হীন থাকার গন্ডি থেকে বেরিয়ে এসেছে লিভারপুল। বৃহস্পতিবার টটেনহ্যামকে ৩-১ গোলে হারিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ চারে ফিরেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এদিকে ইনজুরির কারণে তারকা হ্যারি কেনকে হারিয়েছে স্পর্সরা।
শেষ চার ম্যাচে কোন গোলেরই দেখা পায়নি ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। তবে কোচ জার্গেন ক্লপ জানিয়েছিলেন সম্মুখ সারির তিন তারকা জ¦লে উঠলেই তার দলটি আগের চেহারায় ফিরে আসবে। গতকাল বিরতির আগমুহুর্তে গোল করেন রবার্তো ফিরমিনো। ফলে দীর্ঘ ৪৯২ মিনিট পর গোলের দেখা পায় লিভারপুল।
এদিকে প্রতিপক্ষের শিবিরে হানা দিয়ে পায়ের গোড়ালিতে আঘাত পান কেন। প্রথমার্ধে দুই দফা চিকিৎসা নিতে হয়েছে ইংলিশ আন্তর্জাতিক তারকাকে। শেষ পর্যন্ত বিরতির পর বদলী দিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। কোচ হোসে মরিনহোর ধারনা কয়েক সপ্তাহ মাঠের বাইরে কাটাতে হবে ইংল্যান্ড অধিনায়ককে।
মরিনহো বলেন,‘ দুই পায়ের গোড়ালিতেই আঘাত পেয়েছেন তিনি। দ্বিতীয়টা প্রথমবারের চেয়েও খারাপ। আমি সঠিক বুঝতে না পারলেও মনে হয় কয়েক সপ্তাহের জন্য তাকে পাব না। এমন কিছু খেলোয়াড় আছে যাদের বিকল্প হয় না। তাই যখন এমনটি হয়, কিছুই করার নেই। বাস্তবতা মেনেই আমাদেরকে লড়াই করতে হবে। এখানে আমাদের কিছুই করার নেই।’
প্রিমিয়ার লীগে ২০১৭ সালের পর সবচেয়ে খারাপ সময় পার করেছে লিভারপুল। এমন নাজেহাল অবস্থা দলটিকে ছিটকে দিয়েছে শীর্ষস্থান থেকে। মাঠে নামার আগে তাদের অবস্থান ছিল পয়েন্ট তালিকার ৫ম অবস্থানে। তবে দলটির ঘুরে দাঁড়াতে দেখে দারুন খুশি তাদের জার্মান কোচ ক্লপ। রেডরা আগের ধারায় ফিরেছে, বিশেষ করে সম্মুখ ভাগে।
ক্লপ বলেন,‘ আজ আমি যা দেখলাম তা কোন একটি আবয়বে নয়। এটিই আমাদের আসল চেহারা। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধে আমরা আগের চেহারায় ফিরে এসেছিলাম। আজ রাতে আমরা একটি দেয়াল ভেঙ্গে দিয়েছি। এটি ভাল দিক। আত্মবিশ^াস হারিয়ে ফেলাটা সহজ। তবে সেটি ফিরে পাওয়া ও সম্ভব। এটি এমন কোন সুইচ নয় যে ইচ্ছে করলেই অন অফ করা যায়। সঠিক সময়ে আপনাকে এটি প্রদর্শন করতে হবে।’
মরিনহোকে দায়িত্বে এনে স্পার্সদের প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ফিরে আসা। এখন টটেনহ্যামের সেই সুযোগটি নির্ভর করছে কেনের প্রত্যাবর্তনের উপর। এবারের প্রিমিয়ার লিগ মৌসুমে স্পার্সদের সম্মুখসারিতে দারুন আগ্রাসী কেন ও সং হিউং-মিন। এই জুটি ম্যাচ শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই গোল করেছিলেন। কেনের থ্রোবল থেকে সন গোল করলেও তখন তার অবস্থান ছিল অফসাইডে। ফলে ভিএআর পর্যালোচনায় সেটি বাতিল করা হয়।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচের প্রথম গোলটি আসে প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে। আগের ম্যাচে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে হেরে যাবার পরও লিভারপুল তাদের আক্রমনাত্মক ফর্মেট ধরে রাখে। এর সুফল নিয়েই বিরতিতে যায় রেডরা। প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে (৪৫+৪) গোল করে লিভারপুলের গোল খরা দূর করেন ফিরমিনো। সাদিও মানের পাস থেকে বল পেয়ে লক্ষ্য ভেদ করেন তিনি। এটি ছিল আট ম্যাচের মধ্যে ফিরমিনোর প্রথম গোল।
বিরতি থেকে এসে তৃতীয় মিনিটেই (৪৭ মি.) ট্রেন্ট আলেক্সান্দের- আর্নল্ড গোল করলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় চ্যাম্পিয়নরা। দুই মিনিট পর ৪৯ মিনিটে পিয়েরে-এমিল হজবজার্গের অসাধরান লক্ষ্য ভেদে ব্যবধান কমিয়ে আনে স্পার্সরা। তবে ম্যাচের ৬৫ মিনিটে সাদিও মানে নিজে গোল করে ফের বাড়িয়ে দেন গোলের ব্যবধান। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের ওই ব্যবধানেই জয় নিশ্চিত হয় লিভারপুলের।