শীতলক্ষ্যা তীরে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা অপসারণ অব্যাহত থাকবে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

403

ঢাকা, ২৮ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা অপসারণ কার্যক্রম এবং সীমানা পিলার স্থাপনসহ প্রকল্পের কাজ চলমান থাকবে। মেইন সীমানা পিলার স্থাপন করা হবে, জরিপ করার দরকার হলে সি এস নকশা অনুযায়ি সেটি করা হবে।
নারায়ণগঞ্জে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় থেকে জমি লীজ নিয়ে যারা লীজের শর্ত ভঙ্গ করেছে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। এক্ষেত্রে সরকার শক্ত অবস্থানে আছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধিন নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলায় সি এস ডি গুদাম হতে ডিইপিটিসি পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা অপসারণ’ সংক্রান্ত বৈঠকে এসব কথা বলেন।
বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী, বস্ত্র ও পাট সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, প্রকল্প পরিচালক মো: নুরুল আলম এবং নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালেই ৯ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১২ জানুয়ারি পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর এলাকায় ৫,২৩৭টি অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করা হয়েছে। ২৬০.৪ একর জমি উদ্ধার, ৬৫ লাখ ৫১ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৬ কোটি ২২ লাখ ৯৪ হাজার টাকার পণ্য নিলাম করা হয়েছে।
সীমানা পিলার স্থাপন, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, বনায়ন, ইকোপার্ক নির্মাণ সংক্রান্ত (২য় পর্যায়) প্রকল্পের মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরে মোট ২,৪০০টি পিলার স্থাপনের লক্ষ্যে ২০২০ সালের ৫ জুলাই হতে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। ২,৪০০টি পিলারের মধ্যে ১,১৭৫টি পিলারের লে-আউট প্রদান করা হয়। যার মধ্যে দৃশ্যমান পিলার সংখ্যা ২৬৬টি, আংশিক নির্মাণাধিন পিলারের সংখ্যা ৬৩১টি এবং বাকিগুলোর কাজ চলমান।
নারায়ণগঞ্জের এনায়েতনগর, গঙ্গাকুল ‘ম’ খন্ড এবং একরামপুর মৌজায় ৫৭টি অবৈধ স্থাপনার তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে পাকা আবাসিক-২৭টি, আধাপাকা আবাসিক-১১টি, পাকা দোকান-৭টি, আধাপাকা মার্কেট-০৩টি, আধাপাকা দোকান ঘর-০৮টি, আধাপাকা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ১টি।