ঢাকা, ২৮ জানুয়ারি ২০২১ (বাসস) : ওয়েস্ট ইন্ডিজের সহ-অধিনায়ক জার্মেইন ব্ল্যাকউড মনে করেন হোম গ্রাউন্ডে অদম্য বাংলাদেশী স্পিনারদের মোকাবেলার জন্য মানষিক প্রস্তুতির দরকার।
সর্বশেষ ২০১৮ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে চার স্পিনার সাকিব আল হাসান, মেহদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসানের সামনে নাস্তানাবুদ হয়ে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিল ক্যারিবিয়রা।
ওই টেস্ট সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের ৪০টি উইকেটই নিয়েছিলেন টাইগার স্পিনারররা। তন্মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ উইকেট দখল করেছিলেন মিরাজ। এছাড়া তাইজুল ১০টি সাকিব আল হাসান ৯টি এবং বাকী ৬টি উইকেট নিজের করে নেন নাঈম।
সাকিব যখন নিষেধাজ্ঞায় ছিলেন তখন চার স্পিানার আক্রমন থেকে বঞ্চিত হয়েছিল বাংলাদেশ। তবে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে এখন টেস্ট স্কোয়াডে ফিরেছেন এই তারকা অল রাউন্ডার। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে আসন্ন টেস্ট সিরিজে এখন আক্রমনের জন্য প্রস্তুত ওই চার স্পিনার। ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে বাংলাদেশের স্পিন সহায়ক উইকেটে ব্যাটিংয়ের জন্য মানষিকভাবে প্রস্তুত ব্ল্যাকউড। আসন্ন সিরিজে তার দলের ব্যাটসম্যানরা স্বাগতিক স্পিনারদের সামলাতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।
ব্ল্যাকউড বলেন,‘ এখানকার উইকেট খুবই ধীরগতির। সুতরাং আমাদেরকে মানষিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে। কারণ এই মুহুর্তে আমাদের কৌশলগত কাজের সুযোগ খুব বেশী নেই। তবে আমি চিন্তাভাবনা করে যেটুকু বুঝতে পারছি, উইকেট খুবই ধীরগতির ও স্পিন সহায়ক হবে। আমি যদি তাই মানষিক প্রস্তুতি নিতে পারি তাহলে ভাল হবে। ফলে আপনা থেকেই সবকিছুতে সাবধানতা চলে আসবে।
এই নেটে আমি ভাল ব্যাট করছি। এটিকে আমি মাঠে টেনে নিতে চাই। এখান থেকে বেরিয়ে ক্রিকেট খেলার জন্য আমার যেন তর সইছে না। বেশ কিছুদিন ধরে আমরা বাংলাদেশে আছি। তাই চাই বাইরে গিয়ে ক্রিকেট খেলতে।’
২০২০ সালের ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়ে যে ফর্ম ব্ল্যাকউড দেখিয়েছেন আসন্ন সিরিজে সেটি ধরে রাখার বিষয়ে আশাবাদী ক্যারিবীয় এই সহ অধিনায়ক। সেখানে দুই টেস্টে তিনি চার ইনিংস ব্যাট করে সংগ্রহ করেছেন ২১৬ রান। যার মধ্যে একটি হাফ সেঞ্চুরি ও একটি সেঞ্চুরি ছিল। সিরিজে এটিই ছিল ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানদের একমাত্র সেঞ্চুরি।
ব্ল্যাকউড বলেন,‘ আমি আমার ভুমিকার পরিবর্তন করতে চাই না। গত দুই সিরিজে আমি রানের মধ্যে ছিলাম। আগামীতেও লক্ষ্য রানের ওই ধারা অব্যাহত রাখা। আমি দলের জন্য কয়েকটি জয় পেতে চাই।
আমরা নতুন কিছু চিন্তা করছি, যা বেশ কার্যকর দেখাচ্ছে। এই ব্যাটিং ইউনিট তাদের কাজ সঠিক ভাবে সম্পন্ন করতে পারবে বলে আমি আশাবাদী। আমাদের উপযুক্ত লাইনআপে আছেন ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েইট, তরুণ মোসেলি, আমি নিজে ও জশ। একবার যদি আমরা আমাদের পরিকল্পনার সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারি, তাহলে ভাল সংগ্রহের পথে আমাদের কেউ আটকাতে পারবে না। ’