বাসস দেশ-৩১ : দিনাজপুরে একলাখ ৭৬ হাজার তিনশ’ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

339

বাসস দেশ-৩১
ইরি বোরো- লক্ষ্যমাত্রা
দিনাজপুরে একলাখ ৭৬ হাজার তিনশ’ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
দিনাজপুর, ২৬ জানুয়ারি ২০২১ (বাসস) : জেলার ১৩টি উপজেলায় চলতি বছর একলাখ ৭৬ হাজার তিনশ’ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর মধ্যে উফশী একলাখ ১৭ হাজার তিনশ’ হেক্টর জমিতে এবং হাইব্রিড ৫৯ হাজার হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।ইরি বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে চাল উৎপাদন হবে প্রায় সাতলাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন।
জেলায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. তৌহিদুল ইসলাম জানান, এবারে জেলার ১৩টি উপজেলার ১০৩টি ইউনিয়নে ইরিবোরো ধানের উৎপাদন সফল করতে কৃষি বিভাগ নানামুখী কার্যক্রম শুরু করেছে। ইতিমধ্যে গত ১৫ জানুয়ারি থেকে জেলায় ইরি বোরো ধানের চারা রোপন কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তিনি জানান, দেড়মাস পূর্বেই বীজতলা প্রস্তুত এবং ইরি বোরো জাতের ধানের বীজ বীজতলায় রোপন করে সৃজন করা হয়েছে।অনেকেরই সৃজনকৃত ইরি বোরো ধানের চারা রোপন যোগ্য হয়েছে।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবারে জেলার ১৩টি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৭ হাজার ৭৮৮ হেক্টর, বীরগঞ্জে ১৪ হাজার ৯৫৫ হেক্টর, কাহারোলে পাঁচহাজার ৭৫৮ হেক্টর, খানসামায় চারহাজার ৫৬৫ হেক্টর, চিরিরবন্দরে ১৮হাজার ৭০৪ হেক্টর, বোচাগঞ্জে নয়হাজার ২৫৫ হেক্টর, বিরল উপজেলায় ১৩ হাজার ৩৬৪ হেক্টর, পার্বতীপুরে ২৪ হাজার ৩৫০ হেক্টর, ফুলবাড়ীতে ১৪ হাজার ৫৮৫ হেক্টর, নবাবগঞ্জে একহাজার ৮৮০ হেক্টর, বিরামপুরে একহাজার ৬৪০ হেক্টর, হাকিমপুরে সাতহাজার ৫০০ হেক্টর এবং ঘোড়াঘাটে নয়হাজার ৯৩৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কৃষি অধিদপ্তরের ধান গবেষনা বিভাগের সহকারী পরিচালক আশরাফুজ্জামান জানান, আজ মঙ্গলবার সকালে জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার নিজপাড়া গ্রামে ইরি বোরো ধানের ২৮ জাতের ধানের চারা রোপনের মাধ্যমে ওই উপজেলায় ধান রোপন মৌসুম উদ্বোধন করা হয়। এর আগে গত ২২ জানুয়ারি সদর উপজেলার নশিপুর গ্রামে এবং গত ২০ জানুয়ারি বিরল উপজেলার ধুকুরঝাড়ী গ্রামে ইরি বোরো ধানের চারা রোপন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন উপপরিচালক মো. তৌহিদুল ইসলাম। এখন জেলার ১৩টি উপজেলাতেই ইরি বোরো ধানের চারা রোপন করা যাবে।
দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল আলম জানান, জেলার প্রত্যেকটি উপজেলায় কৃষকের ইরি বোরো চারা রোপনে বৈদ্যতিক সেচযন্ত্র ব্যবহারে নিরাবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে জেলায় অবস্থিত ২টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে অবহিত করা হয়েছে।
তিনি জানান, জেলার ১৩টি উপজেলার ১০৩টি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ চালিত সেচযন্ত্রের মাধ্যমে ইরি বোরো ধানের জমিতে সেচ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। মৌসুম শুরুর পুর্বেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সাথে সমম্বয় করে গভীর ও অগভীর নলকুপগুলো চালানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। শুধুমাত্র সদর, চিরিরবন্দর ও বিরল উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে রাবার ড্যামের মাধ্যমের মজুদকৃত পানি সেচ ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।
দিনাজপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) যুগ্ম-পরিচালক রাশেদুজ্জামান জানান, এবারে ইরি বোরো চাষে কোন রাসায়নিক সারের সংকট নেই। চাহিদা অনুযায়ি ইউরিয়া, এসএসপি, টিএসপি এবং ড্যাব সার মজুদ রয়েছে। জেলার ১৩টি উপজেলায় ১২৬ জন ডিলার ও প্রত্যেকটি ডিলারের অধীনে তিনজন করে সাব-ডিলার সার বিক্রি করবেন।
বাসস/এনডি/সংবাদদাতা/১৮৪২/এমকে