চট্টগ্রামে নতুন করোনা শনাক্ত ৯২

319

চট্টগ্রাম, ২৫ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৯২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ৮ দশমিক ১২ শতাংশ। এ সময়ে এক করোনা রোগী মারা যান।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের বাহক সংখ্যা একশ’র নিচে থাকার টানা দ্বাদশ দিন পার হলো গতকাল। তবে পাঁচ দিন মৃত্যুশূন্য থাকার পর ষষ্ঠ দিনে এসে এক করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। এর আগে সর্বশেষ রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ জানুয়ারি একজন। সেদিন নতুন বাহক পাওয়া যায় ৯৮ জন। সংক্রমণের হার ৬ দশমিক ৭২ শতাংশ। একশ’র বেশি (১২৭ জন) করোনাভাইরাস বাহক শনাক্ত হয় ১২ জানুয়ারি। সেদিন ২ রোগীর মৃত্যু হয়। সংক্রমণের হারও ছিল ১০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। করোনাকালের সর্বনি¤œ সংমণের হার ২ দশমিক ৯৫ শতাংশ নির্ণিত হয় ১৩ জানুয়ারি। এদিন ৫৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়। গত শনিবার ১ হাজার ২৮০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৮ জন বাহক চিহ্নিত হয়। মৃত্যুশূন্য এ দিনে সংক্রমণ হার ছিল ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। গতকাল সংক্রমিতের সংখ্যা একশ’র নিচে থাকলেও গত কয়েকদিনের তুলনায় অনেক বেশি। হারও যথেষ্ট বেড়েছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল রোববার সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১ হাজার ১৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন ৯২ জন বাহকের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৮৮ জন এবং দুই উপজেলার ৪ জন। ফলে এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৩২ হাজার ৬৭০ জনে দাঁড়ালো। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৫ হাজার ৪৮৮ জন ও গ্রামের ৭ হাজার ১৮২ জন। উপজেলা পর্যায়ে গতকাল শনাক্ত ৪ জনের মধ্যে সীতাকু-ে ৩ জন ও হাটহাজারীতে ১ জন।
গতকাল করোনায় নগরীর এক রোগীর মৃত্যু হয়। ফলে জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৩৬৯ জন। এর মধ্যে ২৬৮ জন শহরের ও ১০১ জন গ্রামের। সুস্থতার ছাড়পত্র দেয়া হয় ৪৫ জনকে। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৩০ হাজার ৫১০ জনে উন্নীত হলো। এর মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নেন ৪ হাজার ১৪০ জন ও বাসায় থেকে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হন ২৬ হাজার ৩৭০ জন। হোম আইসোলেশন বা কোয়ারেন্টাইনে যুক্ত হন ১০ জন ও ছাড়পত্র নেন ২০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে আছেন ১ হাজার ৩৬৯ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৪৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ২৬ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ২৯৪ জনের নমুনার মধ্যে ৯ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৯৯টি নমুনার ২০টিতে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১২ জনের নমুনায় ৫ জন করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন। জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ১২টি নমুনার ৬টিতেই জীবাণুর অস্তিত্ব মেলে। বেসরকারি তিন ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ৯৬, ইম্পেরিয়ালে হাসপাতালে ৬৯ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১৯টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে যথাক্রমে ১৫, ১০ ও ১ টি নমুনায় ভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে। চট্টগ্রামের ৭১টি নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোরই রিপোর্ট নেগেটিভ পাওয়া যায়। ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে চমেকে ৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ৩ দশমিক ০৬, চবি’তে ২০ দশমিক ২০, সিভাসু’তে ৪১ দশমিক ৬৬, আরটিআরএলে ৫০ শতাংশ, শেভরনে ১৫ দশমিক ৬২, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৪ দশমিক ৪৯ এবং আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৫ দশমিক ২৬ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।