বাসস দেশ-৬ : চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যুশূন্য পঞ্চম দিনে সংক্রমণ আরো কমেছে

117

বাসস দেশ-৬
চট্টগ্রাম-কোভিড
চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যুশূন্য পঞ্চম দিনে সংক্রমণ আরো কমেছে
চট্টগ্রাম, ২৪ জানুয়ারি ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যা ও হার আরো কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮ জন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তের হার ২ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এদিন কোনো করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি।
উল্লেখ্য, করোনাকালের সর্বনি¤œ সংক্রমণ হার ২ দশমিক ৯৫ শতাংশ নির্ণিত হয় ১৩ জানুয়ারি। তবে এদিন ৫৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়। গতকালের রিপোর্টে হার সামান্য বেশি হলেও আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিন মাসের মধ্যে সর্বনি¤œ। সর্বশেষ এর চেয়ে কম ৩২ জন করোনায় আক্রান্ত ধরা পড়ে ৩১ অক্টোবর। তবে সেদিন নমুনা পরীক্ষা হয় মাত্র ৭১৯ জনের। সংক্রমণ হার ছিল ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। একই সাথে গতকাল ছিল করোনা ভাইরাসের সংক্রমক সংখ্যা একশ’র নিচে থাকার টানা একাদশ দিন এবং মৃত্যুশূন্য পঞ্চম দিন। সর্বশেষ এক রোগী মারা যান ১৮ জানুয়ারি। সেদিন নতুন বাহক পাওয়া যায় ৯৮ জন। সংক্রমণ হার ৬ দশমিক ৭২ শতাংশ। একশ’র বেশি (১২৭ জন) করোনার ভাইরাসবাহক শনাক্ত হয় ১২ জানুয়ারি। সেদিন ২ রোগীর মৃত্যু হয়। সংক্রমণের হারও ছিল ১০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। গতকাল ১ হাজার ২৮০ জন ও ১৩ জানুয়ারি ১ হাজার ৭৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগরীর ছয়টি ল্যাবে গতকাল শনিবার ১ হাজার ২৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ৩৮ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৩৩ জন ও চার উপজেলার ৫ জন। এর মধ্যে রাউজানে ২ জন এবং ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও পটিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনা ভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৩২ হাজার ৫৭৮ জন, যাতে শহরের বাসিন্দা ২৫ হাজার ৪০০ ও গ্রামের ৭ হাজার ১৭৮ জন।
গতকাল করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ৩৬৭ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ২৬৬ জন ও গ্রামের ১০১ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৪৫ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৩০ হাজার ৪৬৫ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ১৩৫ জন এবং হোম আইসোলেশনে থেকে ২৬ হাজার ৩৩০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে গতকাল যুক্ত হন ১৫ জন, ছাড়পত্র নেন ২৫ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৩৭৪ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ৭৪৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৮ জন করোনার জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩৩৯ জনের নমুনার মধ্যে ১৬ জন করোনাক্রান্ত শনাক্ত হন। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৭ টি নমুনার একটিতেও ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেনি। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ১১ জনের নমুনায় ২ জন পজিটিভ চিহ্নিত হন।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ১৫৮ টি নমুনার মধ্যে ১২ টির রেজাল্ট পজিটিভ হলেও মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৮ টি নমুনার সবগুলোরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
এদিন চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় ও ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। এছাড়া, চট্টগ্রামের কোনো নমুনাও পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে গত ২৪ ঘণ্টায় বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ০৭ শতাংশ, চমেকে ৪ দশমিক ৭২, আরটিআরএলে ১৮ দশমিক ১৮, শেভরনে ৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়। সিভাসু এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবের সংক্রমণ হার ছিল শূন্য।
বাসস/জিই/কেএস/১১১৫/অমি