বাসস ক্রীড়া-৮ : সিরাজ-গিলদের পাশে গ্রিন-পুকোভস্কিরা প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র : চ্যাপেল

111

বাসস ক্রীড়া-৮
ক্রিকেট-চ্যাপেল
সিরাজ-গিলদের পাশে গ্রিন-পুকোভস্কিরা প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র : চ্যাপেল
সিডনি, ২৩ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : ইনজুরির কারনে দলের সেরা খেলোয়াড়দের ছাড়াই অবিশ্বাস্যভাবে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতছে ভারত। সেই সাথে সিরিজে ছিলেন না দলের সেরা অধিনায়ক বিরাট কোহলিও। তবে ভারতীয় তরুণদের পারফরমেন্স মনে ধরেছে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান গ্রেগ চ্যাপেলের। অন্যদিকে, নিজ দেশের তরুণদের পারফরমেন্সে চটেছেন তিনি। তাই বাধ্য হয়ে তিনি বললেন, ভারতীয় তরুণদের তুলনায় যোজন-যোজন পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়ার তরুণরা। মোহাম্মদ সিরাজ-শুভমান গিল-নবদীপ সাইনিদের পাশে উইল পুকোভস্কি-ক্যামেরুন গ্রিনরা এখনো প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলেই দেশে ফিরেন ভারতের সেরা ব্যাটসম্যান ও নিয়মিত অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এরপর ইনজুরিতে একের পর এক খেলোয়াড় দল থেকে ছিটকে পড়েন। অনেকেই ভবিষ্যতদ্বানী করেছিলেন সিরিজে ভারত হোয়াইটওয়াশ হবে।
দলের সেরা খেলোয়াড়দের ইনজুরিতে সুযোগ হয় তরুণদের। যারা সুযোগ পেয়েই তা দারুনভাবে কাজে লাগিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টানা দ্বিতীয়বারের মত সিরিজ জয়ে বড় অবদান রাখেন সিরাজ-সাইনি-গিল-টি নটরাজন-ঋসভ পান্থরা। ফলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় ভারত।
ভারতের তরুণরা পারফরমেন্স করতে পারলেও অস্ট্রেলিয়ার তরুণরা নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি। তাই তাদের এক হাত নিলেন চ্যাপেল।
অস্ট্রেলিয়ার এক সংবাদপত্রের কলামে চ্যাপেল লিখেছেন, ‘ভারতীয়রা অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায় থেকেই সব ধাপে চ্যালেঞ্জিং ক্রিকেট খেলে বেড়ে ওঠে। তাদের তুলনায় আমাদের তরুণ ক্রিকেটাররা দুর্বল যোদ্ধা। একজন ভারতীয় ক্রিকেটার যখন জাতীয় দলে পা রাখে, ততদিনে সে যাবতীয় শিক্ষানবিশ সময় কাটিয়ে আসে, পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে আসে বলে জাতীয় দলে তাদের সাফল্যের সম্ভাবনা বেশি থাকে। সেই তুলনার অভিজ্ঞতার দিক থেকে আমাদের পুকোভস্কি-গ্রিনরা এখনও প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র।’
তরুণদের পেছনে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের বিনিয়োগের চিত্র তুলে ধরে চ্যাপেল বলেন, ‘তরুণ ক্রিকেটারদের পেছনে লাখ-লাখ টাকা খরচ করছে বিসিসিআই(ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড)। সেখানে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া শেফিল্ড শিল্ড করার জন্য মাত্র ৪৪ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে। পার্থক্যটা ভারত মহাসাগরের থেকেও বড়। টেস্ট ক্রিকেটে প্রতিযোগিতামূলক খেলায় নামার আগে কি দরকার সেটা যদি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া না বুঝতে পারে এবং কোথায় বিনিয়োগ করতে হবে, সে ব্যাপারে প্রশাসনের কর্তারা ভাবনাচিন্তায় পরিবর্তন না করেন, তাহলে আমরা আরও অনেক পিছিয়ে পড়বো।’
চ্যাপেলের মতে, ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের পদ্ধতিই তরুণদের জন্য। তাদের লড়াকু ও আক্রমনাত্মক হিসেবে গড়ে তোলাই হচ্ছে ভারতের প্রধান লক্ষ্য। চ্যাপেল বলেন, ‘ভারতের যুব দলগুলি আমাদের কয়েকটি প্রথম শ্রেণির দলকেও বিব্রত করতে পারে। ঘরোয়া আসরে দুর্দান্ত সব ম্যাচ খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চাপের সাথে তারা নিজেদের মানিয়ে নিতে শিখে। ভারতে ৩৮টি প্রথম শ্রেণির দল আছে, এটিই বলে দেয় তাদের প্রতিভার পরিধি কত বড়।’
বাসস/এএমটি/১৫৩৫/স্বব