বাসস দেশ-৩ : চট্টগ্রামে করোনামুক্ত ৬০ ও নতুন আক্রান্ত ৫৩ জন

110

বাসস দেশ-৩
চট্টগ্রাম-করোনামুক্ত
চট্টগ্রামে করোনামুক্ত ৬০ ও নতুন আক্রান্ত ৫৩ জন
চট্টগ্রাম, ২৩ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে নতুন ৫৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত এবং ৬০ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। সংক্রমণের হার ৪ দশমিক ৭২ শতাংশ। কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
উল্লেখ্য, করোনাকালের সর্বনি¤œ সংক্রমণ হার রেকর্ডের দিন ১৩ জানুয়ারিও ৫৩ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়। সর্বশেষ এর চেয়ে কম ৩২ জন করোনায় আক্রান্ত ধরা পড়ে ৩১ অক্টোবর। সেদিন নমুনা পরীক্ষা হয় মাত্র ৭১৯ জনের। সংক্রমণের হার ছিল ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ। গতকাল ১ হাজার ১২৩ জনের ও ১৩ জানুয়ারি ১ হাজার ৭৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। গতকাল ছিল করোনাভাইরাস বাহক সংখ্যা একশ’র নিচে থাকায় টানা দশম দিন এবং মৃত্যুশূন্য চতুর্থ দিন। সর্বশেষ এক রোগী মারা যান ১৮ জানুয়ারি। সেদিন নতুন বাহক পাওয়া যায় ৯৮ জন। সংক্রমণের হার ৬ দশমিক ৭২ শতাংশ। একশ’র বেশি করোনারভাইরাস বাহক শনাক্ত হয় ১২ জানুয়ারি। সেদিন ২ রোগীর মৃত্যু হয়। সংক্রমণের হারও ছিল ১০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে জানা যায়, নগরীর সাতটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গতকাল শুক্রবার নতুন ৫৩ সংক্রমিতের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪০ জন ও ছয় উপজেলার ১৩ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ৫ জন, রাউজানে ৩ জন, ফটিকছড়িতে ২ জন এবং মিরসরাই, সাতকানিয়া ও চন্দনাইশে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩২ হাজার ৫৪০ জনে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৫ হাজার ৩৬৭ জন ও গ্রামের ৭ হাজার ১৭৩ জন।
গতকাল কোনো করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি। মৃতের সংখ্যা ৩৬৭ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ২৬৬ জন ও গ্রামের ১০১ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৬০ জন। মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৩০ হাজার ৪২০ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ১৩০ জন এবং বাসা থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন ২৬ হাজার ২৯০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ১০ জন ও ছাড়পত্র নেন ৫০ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৩৮৪ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ৫০৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৩ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩৭০ জনের নমুনার মধ্যে ৭ জন করোনায় শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ২০ জন জীবাণুবাহক বলে চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৪৭টি নমুনার ২টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়।
নগরীর তিন বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬০টি নমুনায় ৫টি, শেভরনে ৩৬ টির মধ্যে ৪টি এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ১৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ২টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। চট্টগ্রামের ১৬ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় সবগুলোর ফলাফল নেগেটিভ আসে।
নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ এদিন কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, চমেকে ১ দশমিক ৮৯, চবিতে ২৭ দশমিক ০৩, সিভাসু’তে ৪ দশমিক ২৫, ইম্পেরিয়ালে ৮ দশমিক ৩৩, শেভরনে ১১ দশমিক ১১ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
বাসস/জিই/কেএস/১০৫০/-আসাচৌ