বাসস দেশ-৫৭ : পিপলস লিজিংয়ের ঋণ খেলাপিদের তলব করেছেন হাইকোর্ট

278

বাসস দেশ-৫৭
হাইকোর্ট-তলব-আদেশ
পিপলস লিজিংয়ের ঋণ খেলাপিদের তলব করেছেন হাইকোর্ট
ঢাকা, ২১ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগ নিয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকা প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার সংশ্লিষ্ট আর্থিক প্রতিষ্ঠান পিপলস লিজিং থেকে ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছেন এমন ব্যক্তিদের তলব করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের হাইকোর্টের একটি একক বেঞ্চ বৃহস্পতিবার ২১ জানুয়ারি এ আদেশ দেন। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে হবে।
অবসায়ন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকা পিপলস লিজিংয়ের সাময়িক অবাসায়ক (প্রবেশনাল লিক্যুডেটর) মো. আসাদুজ্জামান খানের দেয়া এ সংক্রান্ত তালিকা দেখে এই আদেশ দেন আদালত।
৫ লাখ টাকা কিংবা তার বেশি টাকা ঋণ নিয়ে খেলাপি হয়েছেন, এমন ২৮০ জনকে তলব করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়।
অবাসায়ক (প্রবেশনাল লিক্যুডেটর) মো. আসাদুজ্জামান খানের আইনজীবী মেজবাহুর রহমান গনমাধ্যমকে জানান, তলবের পাশাপাশি ঋন খেলাপি বিষয়ে ২৮০ জনকে কারণ দর্শাতেও আদেশ দিয়েছেন।
আদালতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন কাজী এরশাদুল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল আব্দুল ওয়াহাব।
বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার আগে পি কে হালদার তার আত্মীয়, বন্ধু ও সাবেক সহকর্মীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে পর্ষদে বসিয়ে যে চারটি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলেন তার একটি হল পিপলস লিজিং।
১৯৯৭ সালের ২৪ নভেম্বর আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পিপলস লিজিংকে অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর থেকে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের কাছ থেকে মেয়াদি আমানত ও বিভিন্ন ব্যাংক-আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা ধার করে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে প্রতিষ্ঠানটির আমানত ছিল ২ হাজার ৩৬ কোটি টাকা। আর ঋণের পরিমাণ ১ হাজার ১৩১ কোটি টাকা, এর মধ্যে খেলাপিই ৭৪৮ কোটি টাকা। খেলাপি ঋণের হার ৬৬ শতাংশ।
২০১৫ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে লোকসান গুণে প্রতিষ্ঠানটি। খেলাপি প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা আদায় করতে না পারায় আমানতকারীদের টাকাও ফেরত দিতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি। আমানতকারীগনের মধ্যে অনেকেই টাকা ফেরত পেতে আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন।
২০১৯ সালের ১৪ জুলাই পিপলস লিজিং অবসায়নের জন্য আদালতে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই দিনই মামলার শুনানি শেষে প্রতিষ্ঠানটি অবসায়নে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেয় আদালত।
এছাড়া অবসায়ন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক পদমর্যাদার একজনকে অবসায়ক নিয়োগ দিতে বলা হয়। পরে সাময়িক অবসায়ক (প্রবেশনাল লিকুইডেটর) হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের উপমহাব্যবস্থাপক আসাদুজ্জামান খানকে নিয়োগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এরপর আদালত পিপলস লিজিংয়ের ঋণ গ্রহীতাদের একটা তালিকা চায় সাময়িক অবাসায়ক (প্রবেশনাল লিক্যুডেটর) মো. আসাদুজ্জামান খানের কাছে।
বাসস/এএসজি/ডিএ/২৩৪২/এবিএইচ