বাসস দেশ-৬ : মুজিববর্ষে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ২০০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ঘর পাচ্ছে

191

বাসস দেশ-৬
গৃহহীন-ঘর
মুজিববর্ষে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ২০০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ঘর পাচ্ছে
ময়মনসিংহ, ২১ জানুয়ারি, ২০২১(বাসস) : মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে জেলার গফরগাঁও উপজেলার ২০০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য নির্মিত হচ্ছে আধা পাকা ঘর স্বপ্ননীড়।
প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় সরকারি খাস জমিতে এসব ঘর নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে। বরাদ্ধপ্রাপ্ত গৃহহীন ও ভূমিহীনদের তালিকাও তৈরী করা হয়েছে। সারাদেশে একযোগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক উদ্বোধনের পরপরই স্বপ্ননীড়ের ঘরগুলো গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মধ্যে হস্তান্তর করা হবে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, “আশ্রয়নের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার” মুজিববর্ষে এ শ্লোগান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খাস জমিতে গৃহহীন ও ভূমিহীন ২০০ পরিবারকে আধা পাকা ঘর তৈরী করে দেয়া হচ্ছে।
উপজেলার চরমছলন্দ গ্রামের মৃত আবুল হাশেমের স্ত্রী আয়েশা আক্তার (৬১)। বিয়ের বছরেই ব্রহ্মপুত্রের করালগ্রাসে তাদের ভিটেবাড়িসহ সম্স্ত জোত-জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এর পর থেকে প্রায় সাড়ে তিন যুগ ধরে অন্যের জায়গায় ঝুপড়ি বেঁেধ কিংবা সরকারি অফিসের বারান্দায় রাত্রিযাপন করছে আয়েশা আক্তারের পরিবার। অভাবের সংসারে তার স্বামী কিংবা তার দিনমজুর ছেলে হারুন (৪০) এক টুকরো জমি ক্রয় করে ঘর করতে পারেনি। আয়েশা আক্তার প্রতিদিন চরমছলন্দ কাছারীপাড়া এলাকায় তাদের জন্য নিমার্ণাধীন ঘরগুলো দেখে যায়। এ সময় তার চোখে-মুখে খুশির ঝিলিক ফোটে উঠ। জানতে চাইলে দু’হাত আকাশে তুলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোআ করে তিনি বলেন, ছেলে-মেয়ে, নাতী-নাতনীসহ জীবনটাই কেটেছে ঝুপড়ি ঘরের মধ্যে। টাকা-পয়সার অভাবে ঘর করতে পারেনি। বর্ষা ও শীতে অনেক কষ্ট হয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘরে থাকব, আর কষ্ট হবে না।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, প্রতিটি পরিবারের জন্য ২ শতাংশ খাস শতাংশ বরাদ্ধ দিয়ে ঘর তৈরী করে দেয়া হচ্ছে। বাথরুম, গোসলখানা, বারান্দাসহ ২ কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি আধাপাকা ঘরের নির্মাণ ব্যায় এক লাখ ৭১ হাজার টাকা।
উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নে ১৬টি, সালটিয়া ইউনিয়নে ১৩টি, রাওনা ইউনিয়নে ১টি, গফরগাঁও ইউনিয়নে ৭টি, দত্তেরবাজার ইউনিয়নে ৪৮টি, পাঁচবাগ ইউনিয়নে ৫২টি, টাংগাব ইউনিয়নে ১৮টি, লংগাইর ইউনিয়নে ১৩টি, পাইথল ইউনিয়নে ১৬টি ঘর নির্মাণের কাজ চলছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সঠিকতা ধরে গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য ঘরগুলো নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে উপকার ভোগীদের মধ্যে ঘরগুলো হস্তান্তর করা হবে।
বাসস/এনডি/সংবাদদাতা/১২০৫/কেজিএ