বাসস দেশ-৩৪ : রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য যন্ত্রাংশ পাঠালো এটোমম্যাস

99

বাসস দেশ-৩৪
যন্ত্রাংশ- রূপপুর
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য যন্ত্রাংশ পাঠালো এটোমম্যাস
ঢাকা, ২০ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস): রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় কর্পোরেশন রোসাটমের যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারী শাখা এটোমএনার্গোম্যাস বাংলাদেশে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের পারমানবিক রিয়াক্টর বা চুল্লির আভ্যন্তরীণ যন্ত্রাংশ প্রস্তুত করে পাঠিয়েছে।
আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক বার্তায় বলা হয়, এসব আভ্যন্তরীণ যন্ত্রাংশের মধ্যে রয়েছে ১১ মিটার কোর ব্যারেল, কোর বাফেল এবং প্রোটেক্টিভ টিউব ইউনিট । এই অভ্যন্তরীণ যন্ত্রাংশের মোট ওজন প্রায় ২১০ টনের বেশি।
এতে বলা হয়, ‘এইএম-টেকনোলোজি’র ভল্গোদনস্ক শাখা থেকে এটিকে সড়ক পথে নভরোসিস্ক বন্দরে নেয়া হয় এবং সেখান থেকে এটিকে জলপথে বাংলাদেশের পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নেয়া হবে। এই জলপথটি হবে প্রায় ১৪ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রিয়াক্টরটি একটি লম্বা সিলিন্ডার আকৃতির এবং উপবৃত্তাকার তল বিশিষ্ট পাত্র, যার ভিতরে কোর ও অন্যান্য অভ্যন্তরীন যন্ত্রাংশ থাকে। এর উপরের অংশটি একটি ঢাকনা দ্বারা দৃঢ়ভাবে আটকানো থাকে এবং এর সঙ্গে ড্রাইভ মেকানিজম, রিয়াক্টর এর নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা এবং নজেলের মাধ্যমে রিয়াক্টরের নিয়ন্ত্রণ সেন্সরের তারগুলোকে বাইরে নেয়ার ব্যবস্থা থাকে। রিয়াক্টর কাভারটি ভেসেলের গায়ে স্টাডের সাহায্যে আটকানো থাকে। চুল্লি পাত্রের ওপরের অংশে নজেল থাকে, যার মাধ্যমে ক্যুলান্ট সরবরাহ ও সরিয়ে নেয়া হয়। এছাড়াও জরুরি মুহূর্তে, যেমন যখন সার্কিট ডিপ্রেসারাইজড থাকে, সেই সময়ে কুল্যান্ট সরবরাহের জন্যে নজেল থাকে।
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি রাশিয়ান নকশা অনুযায়ী নির্মিত হচ্ছে। এর নকশা ও নির্মাণ কাজ করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় কর্পোরেশন রোসাটমের প্রকৌশল বিভাগ। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২টি ইউনিটে ভিভিইআর ১২০০ রিয়াক্টর ব্যবহার করা হবে, যার উৎপাদন কাল ৬০ বছর যা পরবর্তীতে আরও ২০ বছর বাড়ানো সম্ভব ।
বাসস/সবি/এসএএস/অনু-এমএন/১৮৫০/-শআ