নকল মাস্ক : জেএমআই চেয়ারম্যানের জামিন হাইকোর্টে বহাল

261

ঢাকা, ১৯ জানুয়ারি, ২০২১(বাসস) : নকল ‘এন৯৫’ মাস্ক সরবরাহ করার অভিযোগে আনা মামলায় জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাককে নিম্ন আদালতের দেয়া জামিন বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
তার জামিনের বিরুদ্ধে জারি করা রুল খারিজ (ডিসচার্জ) করে বিচারপতি মো.নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীম সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই রায় দেন।
এডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি আদালতের আদেশের বিষয়টি বাসস’কে জানান। তিনি বলেন, জামিন প্রশ্নে ইতোপূর্বে জারি করা রুল ডিসচার্জ করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে নিন্ম আদালতে জেএমআই চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাককে দেয়া জামিন বহাল থাকলো।
আদালতে জেএমআই, এর চেয়ারম্যানের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট এম কে রহমান, এডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।
এর আগে গত ২৯ নভেম্বর নকল ‘এন৯৫’ মাস্ক সরবরাহ করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাককে বিচারিক আদালতের দেয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না-তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে আদেশ দেন।
গত বছরের ১৫ অক্টোবর ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তাকে জামিন মঞ্জুর করেন।
নকল ‘এন-৯৫’ মাস্ক সরবরাহের অভিযোগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ওষুধাগারের (সিএমএসডি) ৬ কর্মকর্তা ও জেএমআই হসপিটাল রিক্যুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. নূরুল হুদা বাদী হয়ে মামলা করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন-কেন্দ্রীয় ঔষাধাগারের উপ-পরিচালক ডা. জাকির হোসেন, সহকারী পরিচালক (স্টোরেজ অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন) ডা. শাহজাহান সরকার, চিফ কো-অর্ডিনেটর ও ডেস্ক অফিসার জিয়াউল হক, ডেস্ক অফিসার (বর্তমানে মেডিক্যাল অফিসার, জামালপুর) সাব্বির আহমেদ, স্টোর অফিসার (পিআরএল ভোগরত) কবির আহমেদ, সিনিয়র স্টোর কিপার ইউসুফ ফকির।মামলার পরপরই রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে দুদক পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি টিম জেএমআই গ্রুপের চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করে।
গত বছরের ৮ অক্টোবর পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিলো। পরে ঢাকা মহানগর আদালত তাকে জামিন মঞ্জুর করে।