চট্টগ্রামে টানা পাঁচদিন করোনা শনাক্ত একশ’র নিচে

268

চট্টগ্রাম, ১৮ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে টানা পঞ্চম দিনের মতো করোনাভাইরাসের সংক্রমণ একশ’র নিচে রয়েছে। গতকাল শনিবারের পরীক্ষায় ৮৮ জন করোনাক্রান্ত শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এ সময়ে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে সর্বশেষ একশ’র বেশি করোনা ভাইরাসের বাহক শনাক্ত হন ১২ জানুয়ারি ১২৭ জন। এদিন ২ রোগীর মৃত্যু হয়, সংক্রমণ হার ছিল ১০ দশমিক ০৪ শতাংশ। এছাড়া গত পাঁচদিনের মধ্যে ১৬ জানুয়ারি ৬৫ জন নতুন বাহক শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ৪ দশমিক ৪২ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। ১৫ জানুয়ারি ৮৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ মেলে। হার ৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ। করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। ১৪ জানুয়ারি নতুন ৯১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস পাওয়া যায়। সংক্রমণের হার ৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ। করোনাক্রান্ত একজন মারা যান এ সময়ে। ১৩ জানুয়ারি চট্টগ্রামে করোনাকালের সর্বনি¤œ সংক্রমণ হারের রেকর্ড হয়। এক হাজার ৭৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৩ জন পজিটিভ চিহ্নিত হন। সংক্রমণের হার ২ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এদিন করোনায় কেউ মারা যাননি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ২৪ ঘণ্টার রিপোর্টে জানা যায়, নগরীর ছয়টি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ১৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ৮৮ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৬ জন ও ছয় উপজেলার ১২ জন। এর মধ্যে হাটহাজারীতেই ৭ জন। এছাড়া, রাউজান, পটিয়া, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৩২ হাজার ১৬৫ জন, যাতে শহরের বাসিন্দা ২৫ হাজার ৪৪ ও গ্রামের ৭ হাজার ১২১ জন।
গতকাল করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মৃতের সংখ্যা ৩৬৬ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ২৬৬ জন ও গ্রামের ১০০ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ২৫ জন। ফলে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ৩০ হাজার ১৫০ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ৬০ জন এবং হোম আইসোলেশনে থেকে ২৬ হাজার ৯০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে গতকাল যুক্ত হন ৩০ জন, ছাড়পত্র নেন ৪৯ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৪১৪ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে। এখানে ৩৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২২ জন করোনার জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩৬৮ জনের নমুনার মধ্যে ৮ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১২৭ টি নমুনার মধ্যে ২৭ টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১০টি নমুনার ১টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ১১ জনের নমুনায় ১ জন পজিটিভ চিহ্নিত হন।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৭৫ টি নমুনা পরীক্ষায় ১১টি, শেভরনে ৬২ টি নমুনার মধ্যে ১১ টি এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২৪টি নমুনায় ৭টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের ৭২ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হলে পরীক্ষায় সবগুলোরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে গত ২৪ ঘণ্টায় চমেকে ৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ২ দশমিক ১৭, চবি’তে ২১ দশমিক ২৬, সিভাসু’তে ১০, আরটিআরএলে ৯ দশমিক ০৯, ইম্পেরিয়ালে ১৪ দশমিক ৬৭, শেভরনে ১৭ দশশিক ৭৪ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ২৯ দশমিক ১৭ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।