বাসস দেশ-৪৫ : ভার্চুয়াল মুদ্রা বিট কয়েন কেনা-বেচার মাস্টারমাইন্ড রায়হান গ্রেফতার

354

বাসস দেশ-৪৫
বিট কয়েন-কেনা-বেচা-গ্রেফতার
ভার্চুয়াল মুদ্রা বিট কয়েন কেনা-বেচার মাস্টারমাইন্ড রায়হান গ্রেফতার
ঢাকা, ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস): বাংলাদেশে অনলাইনে নিষিদ্ধ ভার্চুয়াল মুদ্রা বিট কয়েন কেনা-বেচার মাস্টারমাইন্ড রায়হানকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।
র‌্যাব জানিয়েছে,বাংলাদেশে অনলাইনে নিষিদ্ধ ভার্চুয়াল মুদ্রা বিট কয়েন কেনা- বেচার মাধ্যমে প্রতারণা করে আসছিলো রায়হান হোসেন ওরফে রায়হান (২৯)। বিট কয়েন বিক্রি ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে ভার্চুয়াল কেনা-বেচার এই মাস্টারমাইন্ড।
র‌্যাব গোপন নজরদারিতে জানতে পারে প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া এসব অর্থ বিদেশেও পাচার করতো রায়হান।
স¤প্রতি নিষিদ্ধ এই বিট কয়েনের কেনা- বেচার বিষয়ে র‌্যাবের সাইবার মনিটরিং সেলের গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়াতদন্ত শুরু হয়। একপর্যায় র‌্যাব জানতে পারে, একটি চক্র বিট কয়েন কেনা- বেচা ও বিভিন্ন দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। এই চক্রটিকে শনাক্ত করে, সেখানেই আসামি রায়হানের নাম উঠে আসে। পরে ঢাকার গাজীপুরের সফিপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করে র‌্যাব-১। সে ৩৫ হাজার ডলার প্রতারণা ও লেনদেন করেছে। বিট কয়েন বিক্রির নামে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে প্রতারণাও করেছে রায়হান। এছাড়া সে পাকিস্তান, রাশিয়া ও নাইজেরিয়ার বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে মিলে এই বিট কয়েন কেনা- বেচা করতো।
র‌্যাব জানায়,অভিযানে রায়হানের কাছ থেকে ১৯টি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, ২২টি সিমকার্ড, নগদ ২৫ইউএস ডলারসহ নগদ ১ হাজার ২৭৫ টাকা, ১টি কম্পিউটার, ৩টি মোবাইলফোন, ১টি অডিগাড়ি ক্রয়-বিক্রয়ের সনদপত্র, ৩টি ভুয়া চালান বই, ১টি টেড লাইসেন্স, ১টি ট্যাক্স সার্টিফিকেট, ১টি রেকর্ডিং মাইক্রোফোন, ১টি ক্যামেরা, ১টি রাউটার, ১টি হেডফোন, ১টি মডেম, বিভিন্ন ব্যাংকের ৪টি চেক বই।
র‌্যাব আরও জানায়, রায়হান ২০০৬ সালে ব্যক্তিগত আগ্রহে কম্পিউটারের ওপর প্রশিক্ষণ নেয়। এরপর ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করতো সে। গত বছরের জুন মাস থেকে পাকিস্তানি নাগরিক সাইদ (২২) এর সহায়তায় নিষিদ্ধ ভার্চ্যুয়াল মুদ্রা বিট কয়েন দিয়ে প্রতারণা করে অবৈধ অর্থ হাতিয়ে নিতো সে।
জিজ্ঞাসাবাদে রায়হান র‌্যাবকে আরও জানায়, গত বছরের জুন থেকে অনলাইন অ্যাক্টিভিটিস হিসেবে বিভিন্ন দেশের মানুষের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল এই মুদ্রার মাধ্যমে প্রতারণামূলকভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়।
র‌্যাব জানায়,প্রতারক রায়হান মূলত অষ্টম শ্রেণি পাস। কিন্তু তার আইটি নলেজ খুব বেশি। যদিও এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো প্রশিক্ষণ তার নেই। তার অধীনে কিছু ছেলে রয়েছে যারা আইটি এক্সপার্ট। তাদের সহযোগিতায় রায়হান বিট কয়েন কেনা- বেচা করে আসছিলো।
আসামি রায়হানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে, এছাড়াও তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করা হবে বলেও র‌্যাব জানিয়েছে।
বাসস/সবি/এমএমবি/২৩৫৪/এবিএইচ