বাসস দেশ-৫ : চট্টগ্রামে ২ করোনারোগীর মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১২৭ জন

123

বাসস দেশ-৫
চট্টগ্রাম-কোভিড-শনাক্ত
চট্টগ্রামে ২ করোনারোগীর মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১২৭ জন
চট্টগ্রাম, ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে ২ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। নতুন ১২৭ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণের হার ১০ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে চলতি বছরের প্রথম ১২ দিনে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হার ১০ শতাংশের ওপরে উঠলো। গত ৩ জানুয়ারি ১৬৫ জনের নমুনায় ভাইরাস এবং হার ১৩ দশমিক ০১ শতাংশ পাওয়া যায়। অন্যদিকে, ১১ জানুয়ারি সংক্রমণের সংখ্যা ও হার দু’টোই কম ছিল। এদিন ৭৫ জনের সংক্রমণ এবং হার ৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ নির্ণিত হয়, যা ছিল এর আগের ৭২ দিনের মধ্যে সর্বনি¤œ। দু’দিনই কোনো করোনা রোগীর মৃত্যু ঘটেনি। সর্বশেষ দুই জনের মৃত্যু হয় ৯ জানুয়ারি। আরো দু’দিন একজন করে করোনা রোগী মারা যান ৬ ও ১০ জানুয়ারি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ২৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ১২৭ বাহকের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১০৫ জন ও নয় উপজেলার ২২ জন। এর মধ্যে চন্দনাইশে ৪ জন, হাটহাজারী, বোয়ালখালী, আনোয়ারা ও সাতকানিয়ায় ৩ জন করে, পটিয়া ও বাঁশখালীতে ২ জন করে এবং ফটিকছড়ি ও মিরসরাইয়ে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৩১ হাজার ৭৮০ জন, যাতে শহরের বাসিন্দা ২৪ হাজার ৭১০ জন ও গ্রামের ৭ হাজার ৭০ জন।
গতকাল করোনাক্রান্ত দুই রোগীর মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৩৬৫ জন। এতে শহরের ২৬১ জন ও গ্রামের ১০৪ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৪১ জন। মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা বেড়ে ২৯ হাজার ৯২০ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৪ হাজার ১০ জন এবং হোম আইসোলেশনে থেকে ২৫ হাজার ৯১০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে গতকাল যুক্ত হন ২৫ জন। ছাড়পত্র নেন ৪৫ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৪৩৬ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৫৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২২ জন করোনার জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ২২২ জনের নমুনার মধ্যে ৩০ জন করোনাক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে ৯০ জনের নমুনায় ২৫ জন ভাইরাসবাহক চিহ্নিত হন। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৯৭টি নমুনার ১২টিতে করোনার জীবাণু মেলে। আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে ১৪টি নমুনার ৩ টির পজিটিভ রেজাল্ট আসে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ১৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ১১টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৩১টির মধ্যে ১৪টি এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ১৯টি নমুনার ৭টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের ৫ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হলে পরীক্ষায় ৩ টিরই রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৪ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, চমেকে ১৩ দশমিক ৫১, চবি’তে ২৭ দশমিক ৭৮, সিভাসু’তে ১২ দশমিক ৩৭, আরটিআরএলে ২১ দশমিক ৪৩, শেভরনে ৭ দশশিক ৯১, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১০ দশমিক ৬৯, মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৬ দশমিক ৮৪ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ৬০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
বাসস/জিই/কেএস/১১২৫/-আসাচৌ