বাসস দেশ-৪৩ : আনন্দ উৎসবে ঢাকার আকাশকে রাঙিয়ে তুলবো : ডিএসসিসি ময়র

160

বাসস দেশ-৪৩
আনন্দ-উৎসব-ডিএসসিসি
আনন্দ উৎসবে ঢাকার আকাশকে রাঙিয়ে তুলবো : ডিএসসিসি ময়র
ঢাকা, ১২ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : আগামী ১৪ জানুয়ারি আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে ঢাকা শহরের আকাশ রাঙিয়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটোরিয়ামে সাকরাইন/ ঘুড়ি উৎসব-১৪২৭ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘ঐতিহ্যের ঢাকা গড়ে তোলা নির্বাচনী ইশতেহার ছিল। ঐতিহ্যের ঢাকার মূল উপাদান হচ্ছে আমাদের সংস্কৃতি এবং উৎসবগুলো আমাদের কাছে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য ও সমাদৃত। আর সাকরাইন/ ঘুড়ি উৎসব সংস্কৃতির একটি অঙ্গ। সে প্রেক্ষিতেই আগামী ৩০ পৌষ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডেই প্রথমবারের মত একযোগে সাকরাইন উৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছি। সাকরাইন/ঘুড়ি উৎসবকে শুধু ঢাকা শহরেই নয়, সারা বিশ্বে পৌঁছে দিতে চাই।’
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আমি একটি দায়িত্বশীল পদে রয়েছি। অনেকে অনেক রকম মন্তব্য করতে পারেন, দায়িত্বশীল পদে যিনি থাকেন তাকে নিয়ে নানা মন্তব্য আসতে পারে। সব মন্তব্য তো আর গুরুত্ব বহন করে না। সেটার প্রেক্ষিতে মন্তব্য করাও সমীচীন নয়।’
‘তাহলে কি বলতে পারি, আপনি আর আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন না’- এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘গতকাল যে দুটো মামলা হয়েছে, এই দুই মামলার সঙ্গে আমি কোনভাবেই সম্পৃক্ত না। অতি উৎসাহী কিছু ব্যক্তি আমার বিনা অনুমতিতে এই মামলাটি করেছে। আমি আশা করব তারা এই মামলাগুলো প্রত্যাহার করবে। যদি সেরকম কোনো পরিস্থিতি দাঁড়ায়, পর্যালোচনাপূর্বক সেটা ভবিষ্যতে বিবেচনা করা হবে। সেই প্রেক্ষিতে আমরা পর্যালোচনা করছি। ভবিষ্যতে প্রয়োজনবোধ করলে মামলা হতে পারে।’
মেয়র বলেন, গত ছয় মাসে যে বাজেট দিয়েছিলাম আমরা রেকর্ড পরিমাণ রাজস্ব আহরণ করতে পেরেছি। এই করোনা মহামারির মাঝেও ৩৪৪ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করেছে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি, সেই লক্ষ্য পূরণে ব্যস্ত রয়েছি। আমাদের অনেক কাজ রয়েছে। আমাদের আরও কাজ করার সুযোগ দেবেন। ভুল হলে সেগুলো আমাদের দেখিয়ে দেবেন। কিন্তু এরকম অনাকাঙ্খিত, অনভিপ্রেত বিষয় নিয়ে সময়ক্ষেপণ করার সময় নেই।
মধুমতি ব্যাংকে টাকা ‘হস্তান্তরিত’ করার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা বিভ্রান্তিকর উল্লেখ করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘মধুমতি ব্যাংক গত ৭ বছর ধরে অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে পরিচালিত একটি ব্যাংক। বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে সকল সরকারী, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত ব্যাংক হিসেবে আমানত সংগ্রহ করে থাকে। আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করার আগেও মধুমতি ব্যাংকের সাথে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ব্যাবসায়িক বা সেবামূলক লেনদেন ছিল। সেটা তখন আমানত হিসেবে দক্ষিণ সিটির অর্থ মধুমতি ব্যাংকে ছিল, এখনো আছে। সুতরাং মধুমতি ব্যাংকে শুধুমাত্র আমি একজন পরিচালক হিসেবে এখানে কোন অযাচিত বা দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কিছু করা হয়েছে এমনটা না। সেখানে এমন কোনো নথি দেখাতে পারবে না, ব্যত্যয় করে আইন বহির্ভূতভাবে, অনৈতিকভাবে কোনো কিছু করা হয়েছে। এ বিষয়ে শুধু উনাকেই নয় সারা বাংলাদেশের সবাইকে আমি চ্যালেঞ্জ দিলাম।’
উল্লেখ্য, ‘এসো উড়াই ঘুড়ি, ঐতিহ্য লালন করি’- শ্লোগানে আগামি ১৪ জানুয়ারি প্রথমবারের মতো একযোগে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডে আয়োজন করা হচ্ছে। দুপুর ২টা থেকে শুরু হয়ে উৎসব চলবে রাত ৮টা পর্যন্ত।
আয়োজনের অংশ হিসেবে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭৫টি ওয়ার্ডের সাধারণ আসনের ৭৫ জন কাউন্সিলর এবং সংরক্ষিত আসনের ২৫ জন মহিলা কাউন্সিলরকে ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে ১০০ করে মোট ১০ হাজার ঘুড়ি সরবরাহ করা হয়েছে। কাউন্সিলররা সেগুলো তাদের নিজ নিজ ওয়ার্ডের জনসাধারণের মাঝে বিলি করবেন, যারা কমিটির নির্ধারিত মাঠ বা বাড়ির ছাদে অবস্থান নিয়ে শূন্যে ঘুড়ি ওড়াবেন।
এ সময় তিনি ইট-পাথরের বেড়াজালে ঢাকাকে রুগ্ন সত্ত্বায় পরিণত না করে ঐতিহ্য লালনে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং ডিএসসিসির কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/সবি/এমএসএইচ/২০১০/-এমএন