বাসস দেশ-৪১ : দিহানের বাসার দারোয়ান দুলালের জবানবন্দি প্রদান

194

বাসস দেশ-৪১
দিহান-জবানবন্দি
দিহানের বাসার দারোয়ান দুলালের জবানবন্দি প্রদান
ঢাকা, ১২ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : রাজধানীর কলাবাগানস্থ ‘ও’ লেভেল শিক্ষার্থী ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় একমাত্র আসামি ফারদিন ইফতেফার দিহানের বাসার দারোয়ান দুলাল মিয়া সাক্ষি হিসাবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদের আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক আ ফ ম আসাদুজ্জামান। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
এরআগে ১০ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কলাবাগান থানার পুলিশ পরিদর্শক আ ফ ম আসাদুজ্জামান আসামি দিহানের ডিএনএ পরীক্ষার অনুমতি প্রার্থনা করেন। ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
৮ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদের আদালতে দিহান দায় স্বীকার করে স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এছাড়া ওই দিনই নিহত ছাত্রীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্ত শেষে ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, ‘ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ধর্ষণের ফলে যৌন ও পায়ুপথে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মৃত্যুর আগে চেতনানাশক কিছু খাওয়ানো হয়েছে কিনা, তার জন্য প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে কেমিক্যাল পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। এসব রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৭ জানুয়ারি সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে ওই শিক্ষার্থীর মা কর্মস্থলের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়ে যান। এর এক ঘণ্টা পর তার বাবাও ব্যবসায়িক কাজে বাসা থেকে বের হয়ে যান। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ওই শিক্ষার্থী তার মাকে ফোন করে কোচিং থেকে পড়ালেখার পেপার্স আনার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়েছিল।
এই মামলার একমাত্র আসামি ‘ও’ লেভেলের শিক্ষার্থী দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে ফোন করে ওই শিক্ষার্থীর মাকে জানান, মেয়েটি তার বাসায় গিয়েছিল। হঠাৎ অচেতন হয়ে পড়ায় তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নেয়া হয়।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা অফিস থেকে বের হয়ে আনুমানিক দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে হাসপাতালে যান। হাসপাতালের কর্মচারীদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, আসামি তার কলাবাগান ডলফিন গলির বাসায় ডেকে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। রক্তক্ষরণে অচেতন হয়ে পড়লে বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য আসামি নিজেই তাকে আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মেয়েটির মৃত্যু হয়।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/২০০০/-অমি