বাসস দেশ-১৩ : নীলফামারীতে ৫ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে

111

বাসস দেশ-১৩
সরিষা চাষ
নীলফামারীতে ৫ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে
নীলফামারী, ১১ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : জেলায় সরিষার আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুক’লে থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।
সরিষার আবাদকে বাড়তি ফসল হিসেবে বেছে নিয়েছেন এ জেলার কৃষক। কম খরছে বেশী আয় ও জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমন এবং বোরো আবাদের মধ্যবর্তী সময়ে এ জাতের ফলস আবাদে ঝুঁকছেন অনেকে।
জেলা সদরের পলাশবাড়ী ইউনিয়নের তরণীবাড়ী গ্রামের কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আমন এবং বোরো আবাদের মধ্যবর্তী সময়ে সরিষার আবাদ করা যায়। ফলন পাওয়া যায় চার থেকে সাড়ে চার মণ। মাত্র এক হাজার ৫০০ টাকা খরচ করে আট থেকে নয় হাজার টাকা আয় হয়। ওই আয় দিয়ে নির্বিঘেœ বোরো আবাদ সম্ভব।’
তিনি বলেন,‘সরিষার আবাদে জমির নাইট্রেজেনের ঘাটতি পূরণ হয়। জমিতে গাছের পাতা পড়ে জৈব সারের ঘাটতি মেটায়। ফলে বোরো আবাদে তেমন সারের প্রয়োজন হয় না। এ কারণে গত বছর এক বিঘা জমিতে সরিষা আবাদ করলেও এবার নয় বিঘা জমিতে আবাদ করেছি।’
একই গ্রামের কৃষক মো. নূর নবী বলেন,‘আমন ধান উঠানোর পর বোরো আবাদের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত জমি পড়ে থাকে। এ সময়ে পড়ে থাকা জমিতে সরিষা আবাদ করছি আমরা। ৭৫ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে ফসল ঘরে তোলা সম্ভব। কম শ্রম এবং খরছে বেশী আয় হওয়ায় গ্রামের কৃষকরা ঝুঁকছে সরিষার আবাদের দিকে।’
জেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, জেলায় এবার ৫ হাজার ৫শহেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে উচ্চ ফলনশীল বারি ১৪, ১৫, ও বিনা ৪ জাতের সরিষা রয়েছে। এসব সরিষার ৭৫ থেকে ৮০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। জমি চাষ করে বীজ ছিটানোর পর আর তেন সেচ ও নিড়ানীর প্রয়োজন হয় না। সরিষা উঠানোর পর বোরো আবাদের জন্য জমি তৈরীতে যেমন খরচ নেই, তেমনি সারের খরচ কম হয়। একারণে কৃষকরা সরিষার আবাদের দিকে ঝঁকছেন।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. ওবায়দুর রহমান ম-ল বলেন,‘সরিষার চাহিদা সবসময় রয়েছে। কম খরচে এবং কম সময়ে ফসল উঠানো সম্ভব হওয়ায় কৃষকরা এ আবাদের দিকে ঝুঁকছেন। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে।’
বাসস/এনডি/সংবাদদাতা/১৫১৩/নূসী