চট্টগ্রামে আরো ১১৭ জন করোনাক্রান্ত

255

চট্টগ্রাম, ১১ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১১৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এসময়ে এক করোনা রোগীর মৃত্যু হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে জানা যায়, নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গতকাল রোববার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৩৮৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ১১৭ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১০৬ জন ও সাত উপজেলার ১১ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে মিরসরাই ও সীতাকু-ে ৩ জন করে এবং রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি, বাঁশখালী, পটিয়া ও বোয়ালখালীতে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৩১ হাজার ৫৭৮ জন। সংক্রমিতদের ২৪ হাজার ৫৩৬ জন শহরের ও ৭ হাজার ৪২ জন গ্রামের।
করোনায় গতকাল এক রোগীর মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ৩৬৩ জন। এতে শহরের বাসিন্দা ২৫৯ জন ও গ্রামের ১০৪ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৪১ জন। এতে মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ২৯ হাজার ৮২৫ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ৯৮৫ জন। বাসায় থেকে ২৫ হাজার ৮৪০ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে নতুন যুক্ত হন ২৮ জন। ছাড়পত্র নেন ৩৫ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৪২৩ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ৬২৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৬ জন জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৩১৩ জনের নমুনার মধ্যে ২৯ জন করোনাক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ১৫ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৫৬টি নমুনার ১২টিতে ভাইরাস পাওয়া যায়। নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল-এ ২০ টি নমুনার ৪ টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। নগরীর তিন বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরির মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৩০টি নমুনায় ১৬টি, শেভরনে ৬১টির মধ্যে ২২টি এবং মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২১টি নমুনা পরীক্ষা করে ২টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলে। এদিন চট্টগ্রামের ২১ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় একটিতে করোনাভাইরানের অস্তিত্ব মেলে।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ২ দশমিক ৫৪ শতাংশ, চমেকে ৯ দশমিক ২৬, চবিতে ১১ দশমিক ৩, সিভাসু’তে ২১ দশমিক ৪৩, আরটিআরএলে ২০ শতাংশ, ইম্পেরিয়ালে ১২ দশমিক ৩১, শেভরনে ৩৬ দশমিক ৬, মা ও শিশু হাসপাতালে ৯ দশমিক ৫২ এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।