ঢাকা, ১০ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস): ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) ড.বেনজীর আহমেদ বলেছেন,করোনা মোকাবেলায় পুলিশ হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় থেকে শুরু করে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রশাসকসহ সকলের প্রচেষ্টা ছিল মহাকাব্যিক।
তিন বলেন,এ মহাকাব্যিক প্রচেষ্টায় সবাই যে দুর্দমনীয় সাহস দেখিয়েছেন, ঝুঁকি নিয়েছেন,পেশাগত মমত্ববোধ দেখিয়েছেন তা এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে, যা সত্যিই বিরল।
তিনি আজ রোববার দুপুরে রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের কোভিড-১৯ সম্মুখযোদ্ধাদের স্বীকৃতি ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজি (এএন্ডও) ড. মো: মইনুর রহমান চৌধুরী, ডিএমপি কমিশনার মোহা: শফিকুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণকারী র্যাবের মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, নৌ পুলিশের ডিআইজি মো: আতিকুল ইসলাম চিকিৎসাকালীন তাদের অভিজ্ঞতা ও অনুভূতি ব্যক্ত করেন। হাসপাতালের পরিচালক ড. হাসান-উল-হায়দার ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন । স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মনোয়ার হোসেন খান।অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধানগণ, ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ এবং হাসপাতালের সকল পর্যায়ের করোনাযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
আইজিপি বলেন, সারা বিশ্বের মতো আমাদের জন্যও করোনা ছিল একটি সম্পূর্ন নতুন অভিজ্ঞতা। আমরা হতবিহ্বল না হয়ে দুর্দমনীয় প্রত্যয় নিয়ে করোনা মোকাবেলা করেছি। আমরা জানি, বাংলাদেশের মানুষ, বাঙালি জাতি কখনোই পরাজয় মানে না।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালকে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল থেকে ৫০০ শয্যার কোভিড হাসপাতালে উন্নীত করা হয়েছে। মাত্র তিন সপ্তাহে পিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এ হাসপাতালে প্লাজমা ব্যাংক স্থাপন ও প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগ করা হয়েছে।
পুলিশ প্রধান বলেন,প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় একটি বেসরকারি হাসপাতাল ভাড়া করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল, পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা, তাদের মধ্যে কনফিডেন্স তৈরি করা। কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার সাথে এ দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়েছে।
আইজিপি বলেন, পুলিশ হাসপাতালে শুধু পুলিশ সদস্যই নয়, প্রশাসণের কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার মানুষকেও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
ড.বেনজীর আহমেদ বলেন,আমরা কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালকে বিশ্বমানের বিশেষায়িত হাসপাতালে রূপান্তর করতে চাই। ভবিষ্যতে এ হাসপাতালে ক্যাথল্যাব স্থাপন এবং ক্যান্সার চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হবে।
পুলিশ প্রধান বলেন, ঢাকায় একটি বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। বিভাগীয় ও জেলা শহরে স্থাপিত পুলিশ হাসপাতালগুলো আধুনিকায়ন করা হবে।
চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে আইজিপি বলেন, আপনারা অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। আগামীতে আরও বেশি ভালো করতে হবে। আমরা আকাশ ছুঁতে চাই। আমরা সকলে মিলে হাতে হাত ধরে একযোগে দেশের জন্য, জনগণের জন্য কাজ করব।
ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, আজকের এ পুরস্কার সরকার, পুলিশ এবং দেশের মানুষের পক্ষ থেকে আপনাদের স্বীকৃতি। এ স্বীকৃতি আপনাদেরকে আরও বেশি ভালো কাজে উজ্জীবিত করবে, উদ্দীপ্ত করবে, অনুপ্রাণিত করবে।
পরে আইজিপি করোনাযোদ্ধাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।