বাসস দেশ-৪২ : এএসপি শিপন হত্যা মামলার প্রতিবেদন ৮ ফেব্রুয়ারি

186

বাসস দেশ-৪২
শিপন হত্যা-প্রতিবেদন
এএসপি শিপন হত্যা মামলার প্রতিবেদন ৮ ফেব্রুয়ারি
ঢাকা, ১০ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস): সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আনিসুল করিম শিপন হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকা মহানগর হাকিম মঈনুল ইসলাম নতুন এদিন ধার্য করেন।
গত বছরের ৯ নভেম্বরে এএসপি আনিসুল করিম শিপন তার আত্মীয় ও স্বজনকে নিয়ে রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে যান। হাসপাতালে তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
১০ নভেম্বর এ ঘটনায় আনিসুল করিম শিপনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. ফাইজুদ্দিন আহম্মেদ বাদি হয়ে আদাবর থানায় ১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন, মাইন্ড এইড হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়, পরিচালক ফাতেমা খাতুন ময়না, মুহাম্মাদ নিয়াজ মার্শেদ, কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির, কিচেন সেফ মো. মাসুদ, ওয়ার্ড বয় জোবায়ের হোসেন, ফার্মাসিস্ট মো. তানভীর হাসান, ওয়ার্ড বয় মো. তানিম মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম চন্দ্র পাল, মো. লিটন আহাম্মদ, মো. সাইফুল ইসলাম পলাশ। তারা বর্তমানে কারাগারে আছেন।
এছাড়া দু’আসামি পলাতক রয়েছেন। তারা হলেন, মো. সাখাওয়াত হোসেন ও সাজ্জাদ আমিন।
অন্যদিকে মামলায় একমাত্র আসামি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রেজিস্ট্রার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন জামিনে আছেন।
এদিকে এ মামলায় আসামি কিচেন সেফ মাসুদ খান, ওয়ার্ড বয় অসীম চন্দ্র পাল, মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়, সজিব চৌধুরী, হাসপাতালের ফার্মাসিস্ট মো. তানভীর হাসান ও ওয়ার্ডবয় মো. তানিম মোল্লা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়, মো. আনিসুল করিম চিকিৎসার জন্য গত ৯ নভেম্বর দুপুরে আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে যান। সেখানে দুপুর পৌনে ১২ টার দিকে আসামি আরিফ মাহমুদ জয় এএসপি আনিসুলকে ওয়াশরুমে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে হাসপাতালের দোতলায় নিয়ে যান। তখন তার বোন কথা বলতে চাইলে আসামি জয় ও রেদোয়ান সাব্বির বাধা দেয় এবং কলাপসিবল গেট আটকে দেন।
আসামিরা এএসপি আনিসুলকে রুমের ফ্লোরে জোরপূর্বক উপুড় করে শুইয়ে ৩ থেকে ৪ জন হাটু দিয়ে পিঠের উপর চেপে বসেন। এসময় কয়েকজন তাকে পিঠ মোড়া করে ওড়না দিয়ে দু’হাত বাঁধেন। একজন কনুই দিয়ে আনিসুলের ঘাড়ের পিছনে ও মাথায় আঘাত করেন। একজন মাথার উপরে চেপে বসেন এবং আসামিরা সকলে মিলে তার পিঠ, ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্নস্থানে কিল ঘুষি মেরে আঘাত করেন। এরপর বেলা ১২ টার দিকে আনিসুল নিস্তেজ হয়ে পড়েন। যা হাসপাতালে স্থাপিত সিসিটিভি’র ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়। তিনি নিস্তেজ হয়ে যাওয়ার পর আসামি আরিফ মাহমুদ জয় নিচে এসে পরিবারের সদস্যদের ইশারায় উপরে যাওয়ার জন্য বলেন। এরপর তার বাবা, ভাই ও বোন অবজারভেশন রুমে গিয়ে আনিসুলকে ফ্লোরে নিস্তেজ অবস্থাংয় পড়ে থাকতে দেখন। পরে তাকে জরুরি ভিত্তিতে একটি প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্সে করে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক এএসপি আনিসুলকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাসস/সংবাদদাতা/এফএইচ/২০৩৫/-এবিএইচ