বাসস ক্রীড়া-১৩ : শিরোপা অক্ষুণ্ন রেখেছে বসুন্ধরা কিংস

243

বাসস ক্রীড়া-১৩
ফুটবল ফেডারেশন কাপ
শিরোপা অক্ষুণ্ন রেখেছে বসুন্ধরা কিংস
ঢাকা, ১০ জানুয়ারী, ২০২১(বাসস) : বছরের প্রথম ফুটবল শিরোপা ঘরে তুলেছে বসুন্ধরা কিংস। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ ফেডারেশন কাপের ফাইনালে বসুন্ধরা কিংস ১-০ গোলে সাইফ স্পোর্টিংকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয়। গোলশুন্য প্রথমার্ধের পর ম্যাচের ৫২ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন রাউল বেসেরো। ফেডারেশন কাপের গত তিন আসরের দু’টি চ্যাম্পিয়ন ও একটি রানার্সআপ ট্রফি এখন এ দলটির শোকেসে। প্রতিপক্ষের শিবিরে তখন ভিন্ন চিত্র। প্রথমবার ফেডারেশন কাপের ফাইনালে উঠেও শিরোপা জিততে না পারায় হতাশ বেলজিয়ান কোচ পল জোসেফ পুট ও তার শিষ্যরা। হারলেও মাঠের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষকে কোন ছাড় দেয়নি সাইফের খেলোয়াড়রা। ফেডারেশন কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি এএফসি কাপের প্লে-অফে খেলা নিশ্চিত হল বসুন্ধরা কিংসের।
৯০ মিনিটের ম্যাচ শেষ হতেই একে অন্যকে জড়িয়ে ধরেন বসুন্ধরার ফুটবলাররা। গ্যালারিতে বাদ্য-যন্ত্র বাজিয়ে উল্লাশ করে সমর্থকরা। স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজেন শিষ্যদের সঙ্গে করমর্দন করে পিঠ চাপড়ে বাহবা দিলেন। সাফল্যের কারিগর গুরুকে শূণ্যে তুলে আনন্দ-উৎসব করলেন বসুন্ধরার ফুটবলাররা।
শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচ। তাই সামর্থ্যরে সবটুকু দিয়েই খেলেছেন দু’দলের ফুটবলাররা। ম্যাচের চার মিনিটে মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ক্রসে তপু বর্মন বল জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায় বসুন্ধরা কিংসের গোল। কিংসের আক্রমনভাগকে থামানোর জন্য ভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেন সাইফ কোচ পল পুট। অফসাইডের ফাঁদ তৈরি করেন রহমত মিয়া ও রিয়াদুল হাসান রাফিরা। সাইফের ফাঁদে কয়েকবারই পড়তে দেখা গেছে মতিন মিয়া ও অস্কার বেসেরাদের। ১৯ মিনিটে দারুণ আক্রমন শানায় সাইফ। মাঝ মাঠ থেকে নাইজেরিয়ার মিডফিল্ডার জন ওকোলির বাড়িয়ে দেয়া বল খুঁজে নেয় ইকেচুকু কেনেথ এনগোকেকে। বক্সের মধ্যে ঢুকে পড়া নাইজেরিয়ান এ ফরোয়ার্ড বল মারতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন। শট না নিয়ে ওকোলিকে দেন। তার শট তপুর গায়ে লেগে ফিরে আসে। সামনে পাওয়া বলে আরিফের বুলেট গতির শট পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। ৫২ মিনিটে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। রবসনের ডিফেন্স চেরা পাস ধরে বল নিয়ে বাঁ প্রান্ত থেকে বক্সের মধ্যে ঢুকে বাঁ পায়ের প্লেসিং শটে গোল করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড রাউল অস্কার বেসেরা। আর এই গোলেই সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় সাইফের কেনেথেকে স্পর্শ করেন তিনি। দু’জনেরই গোল পাঁচটি করে। ৬৯ মিনিটে আনিসুর রহমান জিকোর দৃঢ়তায় বেঁচে যায় কিংস। বক্সের বাইরে থেকে কেনেথের জোরালো শট লাফিয়ে ওঠে কর্ণারের বিনিময়ে ফেরান বসুন্ধরার গোলকিপার। সমতায় ফেরানো হয়নি সাইফের। মিনিট চারেক পর গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল সাইফ। বক্সের মধ্যে ওকোলির ছোট পাসে বাঁ পায়ের মাটি কামড়ানোর শট পোস্টের কাছ ঘেষে চলে যায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য সাইফের। শেষ পর্যন্ত আর গোল শোধ করা হয়নি তাদের। ফলে শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলেই শিরোপা জিতে নেয় বসুন্ধরা।
টুর্নামেন্টর সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন সাইফের কেনেথ ইকেচুকু এবং ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় বসুন্ধরা কিংসের রাউল। ফাইনাল শেষে বিজয়ী দলের হাতে ট্রফি তুলে দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল ।
বাসস/এএসজি/এমএইচসি/১৯৩৫/স্বব