আত্মতুষ্টিতে না ভুগতে আহ্বান আকরামের

303

ঢাকা, ৯ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : করোনা আতঙ্কে বাংলাদেশ সফর থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সেরা ১২ ক্রিকেটার নিজেদের সরিয়ে নেন। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হালকাভাবে না নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) অপারেশন্স চেয়ারম্যান আকরাম খান।
করোনাভাইরাসের আতঙ্কে যেই ১০জন বাংলাদেশ সফরে আসছেন না, তারা হলেন- টেস্ট দলের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার, সীমিত ওভারের অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড, টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক রোস্টন চেজ, ড্যারেন ব্রাভো, সামারাহ ব্রুকস, শেলডন কটরেল, এভিন লুইস, শাই হোপ, শিমরোন হেটমায়ার ও নিকোলাস পুরান।
তবে ব্যক্তিগত কারনে বাংলাদেশ সফর থেকে নিজেদেরকে সরিয়ে নেন ফাবিয়ান অ্যালেন ও শেন ডওরিচ।
করোনার কারনে আন্তর্জাতিক সফরে খেলোয়াড়দের অনীহা থাকলে, তাতে কোন সমস্যা নেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তাই যে দলটি বাংলাদেশে আসছে, তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দ্বিতীয় স্তরের দল ভাবা হচ্ছে।
আকরাম জানান, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনও দলকে দুর্বল ভাবা উচিত নয়। তাই বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের আত্মতুষ্টিতে না ভোগার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আজ আকরাম বলেন, ‘আপনি যদি মনে করেন, তারা এখানে তাদের বি দল নিয়ে আসছে, তবে এটি একটি বড় ভুল হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দলটির মান বেশ ভাল এবং তাদের কাছে পর্যাপ্ত ব্যাকআপ খেলোয়াড় রয়েছে। যারা দলের জন্য সেরাটা দিতে প্রস্তুত।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সিরিজে নিজেদের সেরাটাই দিয়েই বাংলাদেশ খেলবে বলে বিশ্বাস আকরামের।
গত মার্চে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ খেলার পর, করোনার কারনে কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি বাংলাদেশ। তাই আসন্ন সিরিজ নিয়ে চিন্তিত আকরাম।
করোনার মধ্যে ক্রিকেট মাঠে ফেরার পর তিনটি সিরিজ খেলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিশ্বের সেরা দলের বিপক্ষেই খেলেছিলো তারা।
আকরাম বলেন, ‘করোনার মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার বিচারে আমাদের চেয়ে এগিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আমরা দীর্ঘদিন ক্রিকেট থেকে দূরে আছি। এ বিষয়টি আমাদের মাথায় থাকা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কথা চিন্তা না করে নিজেদের শক্তি নিয়ে ভাবা উচিত হবে। আশা করি সিরিজ শুরু হবার সাথে-সাথে খেলোয়াড়রা আবার ফর্মে ফিরে আসবে।’
করোনার মধ্যে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে না পারলেও, দীর্ঘ বিরতি শেষে গত সেপ্টেম্বরে তিন দলকে নিয়ে সীমিত ওভারের টুর্নামেন্টের আয়োজন করে বিসিবি। ঐ টুর্নামেন্ট দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে বাংলাদেশ।
এরপর টি-টুয়েন্টি ফরম্যাটে বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপ আয়োজন করে বিসিবি। এই দু’টি টুর্নামেন্টের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের ক্রিকেটে রাখার পাশাপাশি জৈব-সুরক্ষা পরিবেশ নিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিল বিসিবি।
আকরাম খান জানান, কোন ঝামেলা ছাড়া দু’টি টুর্নামেন্ট আয়োজনের অভিজ্ঞতার কারণে সিরিজটি সফলভাবে পরিচালনার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ‘আমরা জৈব-সুরক্ষা পরিবেশ নিয়েও কিছুটা চিন্তিত ছিলাম। কিন্তু আল্লাহর রহমতে, বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ এবং বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপ, দু’টি টুর্নামেন্ট সফলভাবে আয়োজন করতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারপরও জৈব-সুরক্ষা পরিবেশ নিয়ে আমরা কোনও আত্মতুষ্টি অনুভব করছি না। আমরা এটিকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি এবং আশা করছি আমরা সফলভাবে সিরিজটি আয়োজন করতে সফল হবো।’