বাসস ক্রীড়া-১ : দুই গোলে এগিয়ে থেকেও গ্ল্যাডবাখের কাছে পরাজিত বায়ার্ন

167

বাসস ক্রীড়া-১
ফুটবল-বুন্দেসলিগা
দুই গোলে এগিয়ে থেকেও গ্ল্যাডবাখের কাছে পরাজিত বায়ার্ন
মিউনিখ, ৯ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : দুই গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত বুন্দেসলিগায় বরুশিয়া মোচেনগ্লাডবাখের কাছে ৩-২ গোলের পরাজয় বরণ করতে বাধ্য হয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। ইউরোপীয়ান চ্যাম্পিয়নরা এ নিয়ে এবারের মৌসুমে দ্বিতীয় পরাজয়ের অভিজ্ঞতা পেল। এ্যাওয়ে এই পরাজয় সত্তেও অবশ্য আরবি লিপজিগের চেয়ে দুই পয়েন্ট এগিয়ে টেবিলের শীর্ষেই রয়েছে বেভারিয়ান্সরা।
রবার্ট লিওয়ানদোস্কির পেনাল্টি ও লিও গোটশের দুর্দান্ত গোলে বরুশিয়া পার্কে ম্যাচের ২৬ মিনিটেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিল বায়ার্ন। বিরতির আগেই মিডফিল্ডার ইয়োনাস হফম্যানের দুই গোলে দারুনভাবে লড়াইয়ে ফিরে আসে গ্লাডবাখ। বিরতির ঠিক পরপরই ফ্লোরিয়ান নেহাসের গোলে স্বাগতিকদের জয় নিশ্চিত হয়।
ম্যাচ শেষে হফম্যান বলেছেন, ‘আমরা সত্যিই আনন্দিত। এটা কঠিন একটি লড়াই ছিল। এভাবে জয় পাওয়াটা অবিশ^াস্য। কেউই এটা বিশ^াস করবে না বলেই আমি মনে করি। প্রথম দুটি গোল একেবারেই আমাদের পরিকল্পনা মত হয়েছিল। আমরা জানি বায়ার্ন নিজেদের দারুনভাবে প্রতিরোধ করতে জানে। আমরা শুরু থেকেই তাদের কাজটা কঠিন করে তুলেছিলাম। কিন্তু বিরতির পর আমরাই ম্যাচে আধিপত্য দেখিয়েছি।’
দুই গোলে এগিয়ে থাকার পর বায়ার্ন বারবার বল নিয়ে নিজেদের পজিশন হারিয়েছে। আর সেই সুযোগগুলো পূর্নাঙ্গভাবে কাজে লাগিয়েছে গ্লাডবাখ। এর আগে লিগের আটটি ম্যাচেই প্রথম গোল হজম করেছিল বায়ার্ন। সেই ধারা থেকে অন্তত বেরিয়ে এসে কাল ম্যাচের শুরুটা দারুন করেছিল বায়ার্ন। কালও অবশ্য নেহাস প্রথমেই সুযোগ নষ্ট না করলে বায়ার্ন পিছিয়ে পড়তে পারতো। ২০ মিনিটে নেহাসের একটি ফাউলের বিপরীতে দীর্ঘ সময় ধরে ভিএআর রিভিউর পর বায়ার্নকে পেনাল্টি উপহার দেয়া হয়। লিওয়ানদোস্কি স্পট কিক থেকে কোন ভুল করেননি। এনিয়ে এবারের লিগে তিনি ২০তম গোল পূরণ করলেন। ছয় মিনিট পর লেরয় সানের সাথে বল আদান প্রদান করে দুর্দান্ত এক ফিনিশিংয়ে ব্যবধান দ্বিগুন করেন গোটশে। যদিও বিরতির আগেই স্কোরলাইনে সমতা আনে স্বাগতিকরা। দারুনভাবে লড়াইয়ে ফিরে আসারও ইঙ্গিত দেয়। প্রাক ম্যাচ অনুশীলনে গ্লাডবাখ কোচ মার্কো রোস খেলোয়াড়দের বলেছিলেন বায়ার্নের মানসিকতাই হচ্ছে মাঠে নিজেদের কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা। আর এটা করতে গিয়ে তারা প্রতিপক্ষের আক্রমনের জন্য অনেক জায়গা তৈরী করে দেয়। আমাদের সেই সুযোগটাই নিতে হবে। লার্স স্টিন্ডেলের দুর্দান্ত এক পাসে বায়ার্ন রক্ষনভাগ এলোমেলো হয়ে যায়। সেই সুযোগ ৩৬ মিনিটে ম্যানুয়েল নয়্যারকে পরাস্ত করেন হফম্যান। দ্বিতীয় গোলটিও প্রায় একইরকম ছিল। স্টিন্ডেলের দুরপাল্লার পাস থেকে বিরতির ঠিক আগেই নয়্যারকে আবারো বোকা বানান হফম্যান।
বিরতির চার মিনিট পর হফম্যানের সহায়তায নেহাস বায়ার্নের হয়ে শেষ গোলটি করেন। ম্যাচে ফিরে আসার লক্ষ্যে বায়ার্ন কোচ হান্সি ফ্লিক শেষ ২২ মিনিটে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের জয়সূচক গোলদাতা কিংসলে কোম্যানকে মাঠে নামান। কিন্তু তাতেও ভাগ্য ফিরেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের।
বাসস/নীহা/১৪৫০/স্বব