নীলফামারীতে ১ কোটি ২১ লাখ ৪৫ হাজার ১৮৮ টাকার টিআর-কাবিটা কাজ শুরু

435

নীলফামারী, ৯ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : জেলা সদরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কাজের সঙ্গে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে প্রকল্প এলাকায় উন্মুক্ত সভায় ১২৬টি প্রকল্পের বরাদ্দ পত্র বিতরণ করা হয়েছে। এমন উদ্যোগের ফলে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে নতুন দিগন্তের সূচনা ঘটেছে।
সভার নীলফামারী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের বরাদ্দের টিআর ও কাবিটা (প্রথম পর্যায়) প্রকল্পে ১ কোটি, ২১ লাখ, ৪৫ হাজার ১৮৮ টাকার বরাদ্দপত্র প্রদান করা হয়েছে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির কাছে। প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিৎ করতে জনগণকে সম্পৃক্ত করার এ উদ্যোগ বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
সূত্রমতে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের প্রথম কিস্তির বরাদ্দের টিআর ১০৬ টি প্রকল্পে ৪৯ লাখ ৫৭ হাজার ৬৬৬ টাকা এবং কাবিটা ২০টি প্রকল্পে ৭১ লাখ ৮৭ হাজার ৫২২ টাকা সদর উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার বিভিন্ন রাস্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মন্দির, কবরস্থান, শ্মশানের উন্নয়ন, রক্ষাণাবেক্ষণ ও সংস্কার কাজের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হয়। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়নসহ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিৎ করার লক্ষ্যে জনগণকে সম্পৃক্ত করার নির্দেশনা প্রদান করেন সংসদ সদস্য। তাঁর এমন নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুজার রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমানের নেতৃত্বে বিভিন্ন ওয়ার্ডে উন্মুক্ত সভায় এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির হাতে বরাদ্দপত্র প্রদান করা হয়। এসব প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের চেক উত্তোলন করে কাজ শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে।
সদর উপজেলার চাপড়াসরমজানী ইউনিয়নের পূর্ব নতিবচাপড়া বায়তুল মামুর জামে মসজিদের সংস্কার কাজের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৪৫ হাজার টাকা। ওই মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. মোসলেম উদ্দিন জানান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে বরাদ্দপত্র প্রদান করেছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির হাতে।
তিনি বলেন,‘সকলের উপস্থিতির কারণে কি পরিমান বরাদ্দ এসেছে সেটি সকলেই জানতে পারায় স্বচ্ছতার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। সকল বিষয় উন্মুক্ত হওয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়নে জবাবদিহির বিষয়টিও জড়ালো হয়েছে। এতে করে শতভাগ কাজ নিশ্চিৎ হবে বলে আমি মনে করি।’
লক্ষীচাপ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামচরণ রায় বলেন,‘এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে আমি এর আগে এমন পদক্ষেপ দেখিনি। ফলে এলাকার মানুষের কাছে প্রকল্প কমিটির জবাবাদিহির বিষয়টি অনেকাংশে নিশ্চিত করা যায়নি। এবারে এমন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও জবাবাদিহিতা যেমন নিশ্চিৎ হবে, তেমনি প্রকল্প বাস্তবায়নের গুণগত মানও বাড়বে।’
এবিষয়ে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান বলেন,‘সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের নির্দেশনায় আমরা ১২৬টি প্রকল্পে উন্মুক্ত সভা করে বরাদ্দপত্র বিতরণ করেছি। এসব সভায় প্রকল্পের কাজ এবং বরাদ্দের পরিমান অবহিত করা হয় এলাকাবাসীকে। সভায় প্রকল্প কমিটির সকল সদস্যের উপস্থিতি নিশ্চিৎ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন,‘এমন পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকারি কাজের সঙ্গে জনগণকে সম্পৃক্ত পেরেছি আমরা। এতে প্রকল্প বাস্তবায়নের গুণগত মান বৃদ্ধি পাবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিৎ হবে।’
এমন উদ্যোগটি প্রশংশনীয় উল্লেখ করে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এলিনা আকতার বলেন,‘আমরা যেহেতু কাজেরসাথে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে পেরেছি, সেহেতু কাজের মান অবশ্যই ভালো হবে।’ ইতিমধ্যে সকল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।