চট্টগ্রামে করোনাক্রান্ত ১২৪ জন

323

চট্টগ্রাম, ৯ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে মৃত্যুশূন্য দিনে নতুন ১২৪ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে মৃত্যুশূন্য টানা সাত দিন পর ৬ জানুয়ারি এক রোগীর মৃত্যু হয়। এর পর গতকাল ও ৭ জানুয়ারি আরো দু’টি মৃত্যুহীন দিন কেটেছে।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সর্বশেষ রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল শুক্রবার সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে নগরীর ছয়টি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ১ হাজার ২৬১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ১২৪ জন বাহকের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ১০৮ এবং দশ উপজেলার ১৬ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ৫ জন, সীতাকু-ে ৩ জন, রাউজান, ফটিকছড়ি, মিরসরাই, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, আনোয়ারা ও পটিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যাক্তির সংখ্যা ৩১ হাজার ৩৩৬ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৪ হাজার ৩১৭ ও গ্রামের ৭ হাজার ১৯ জন।
গতকাল করোনায় কারো মৃত্যু হয়েনি। জেলায় মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৩৬০ জনই রয়েছে। এর মধ্যে শহরের ২৫৭ ও গ্রামের ১০৩ জন। সুস্থতার সনদ দেয়া হয় ২৭ জনকে। জেলায় মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৯ হাজার ৭৫০ জনে। এদের মধ্যে ৩ হাজার ৯৭০ হাসপাতালে ও ২৫ হাজার ৭৮০ জন বাসায় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। কোয়ারেন্টাইনে গতকাল যুক্ত হন ৩৫ জন। ছাড়পত্র নেন ৩৩ জন। বর্তমানে ১ হাজার ৪১৩ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৬৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ৩০ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ২৭৯টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৪টিতে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১২৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে ৩১ জনের দেহে করোনাভাইরাস থাকার প্রমাণ মেলে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৭৬টি নমুনায় ১৫টি, শেভরনে ৩৯ নমুনায় ৮ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ২৫টির ৬টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। চট্টগ্রামের ৬৮ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হলে পরীক্ষায় সবগুলোরই ফলাফল নেগেটিভ আসে।
এদিন চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল ও বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাব শেভরনে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ, চমেকে ১২ দশমিক ১৯, চবিতে ২৫ দশমিক ২০, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৯ দশমিক ৭৪, শেভরনে ২০ দশমিক ৫১ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ২৪ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।