এ্যাস্টন ভিলায় করোনা প্রাদুর্ভাবে উদ্বেগ বাড়ছে প্রিমিয়ার লিগের মৌসুমে

244

লন্ডন, ৮ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস/এএফপি): প্রিমিয়ার লিগের চতুর্থ ক্লাব হিসেবে বৃহস্পতিবার করোনা প্রাদুর্ভাবে আক্রান্ত হয়েছে এ্যাস্টন ভিলায়। যা নির্ধারিত সুচিতে ইংলিশ ফুটবলের শীর্ষ এই টুর্নামেন্ট শেষ করা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
দুই দফা পরীক্ষায় বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ও কর্মকর্তা কোভিড-১৯ পজিটিভ হওয়ায় প্রশিক্ষন মাঠ বন্ধ করার পাশাপাশি খেলোয়াড়দের অনুশীলনও বন্ধ করে দিয়েছে ভিলা।
এই মুহুর্তে আরো শক্তিশালী সংক্রমনকারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে বৃটেন। যে কারণে দেশটিতে নতুন করে লক ডাউন জারি করেছে সরকার। লকডাউনের মধ্যেও অভিজাত ক্রীড়া কর্মকান্ড অব্যাহত রাখার ঘোষনা দেয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে ভিলা জানায়,‘ মুল দলের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় ও স্টাফ করোনা পজিটিভ হয়েছেন। সোমবার প্রথম দফা পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ হওয়া খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছিল। এর পরপরই দ্বিতীয় দফা পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) পাওয়া ফলাফলেও অনেকগুলো পজিটিভ ফল এসেছে।’
বার্মিংহ্যাম ভিত্তিক এই ক্লাবটির সঙ্গে এফ এ কাপের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচটিও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ লিভারপুল। বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়,‘ লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচের প্রস্তুতির জন্য ভিলার অনুশীলন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আলোচনা চলছে ক্লাবের মেডিকেল কর্মকর্তাদের সঙ্গে। সেই সঙ্গে ফুটবল এসোসিয়েশন ও প্রিমিয়ার লিগের সঙ্গেও কথা হচ্ছে।’
করোনা সংক্রমনের কারণে ইতোমধ্যে বাতিল হয়ে গেছে শ্রেসবারির বিপক্ষে সাউদাম্পটনের এফএ কাপের হোম ম্যাচ। লিগ ওয়ান ক্লাবটিতেও ধরা পড়েছে কয়েকটি কোভিড-১৯ সংক্রমন।
মঙ্গলবার রেকর্ড সংখ্যক ৪০টি করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে প্রিমিয়ার লিগের খেলোয়াড় ও স্টাফদের মধ্যে। ২৮ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারির মধ্যে ধরা পড়েছে এই সংক্রমন। ফুলহ্যাম ও ম্যানচেস্টার সিটিতে সংক্রমন ধরা পড়ায় গত সপ্তাহে স্থগিত হয়েছে প্রিমিয়ার লিগের তিনটি ম্যাচ।
করোনা নিয়ে প্রথম সৌচ্চার হয়েছেন ফুলহ্যামের মিডফিল্ডার কেভিন ম্যাকডোনাল্ড। নিজের ইনস্টাগ্রামে দেয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন,‘ অনুশীলন মাঠে আরো বেশী মহামারি ছড়িয়ে পড়ার আগে ফুটবল থামানো দরকার। আক্ষরিক অর্থে আমাদের সঙ্গে গিনিপিগের মত আচরণ করা হচ্ছে। এটি লজ্জার।’
আগের মৌসুমটি বিলম্বে শেষ হওয়ায় ২০২০/২১ মৌসুমটি এখনো মাঝপথেই পৌঁছাতে পারেনি। কিছুটা বিলম্বে আগামী ১১ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া ইউরোর আগেই ব্যস্ত সুচি দিয়ে হলেও শেষ করতে হবে ঘরোয়া লিগ, কাপ ও ইউরোপীয় প্রতিযোগিতা । এমতাবস্থায় যে কোন উপায়ে প্রিমিয়ার লিগ শেষ করতে বদ্ধপরিকর আয়োজকরা।
মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে লিগ কর্তৃপক্ষ জানায়,‘ সংখ্যাগরিষ্ঠ ক্লাবের মধ্যে স্বল্প সংখ্যক করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। তাই কোভিড-১৯ প্রোটোকল মেনে লিগ চালিয়া নেয়ার বিষয়ে আমরা আশাবাদী। নির্ধারিত সময়ে সুচি শেষ করার বিষয়ে সরকার আমাদের পুর্ন সহায়তা করছে।’
বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি আরো খেলা বাতিল করতে হয়, তাহলে আর্থিক সংকটে পড়তে পারে বিশে^র ধনী লিগটি। কারণ তাদের আসল আয় আসে টেলিভিশন স্বত্ব থেকে। কিন্তু ম্যাচ চালাতে না পারলে বন্ধ হয়ে যাবে তাদের আয়ের উৎস।
গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী গত মৌসুমটি বিলম্বে শেষ করার কারণে তারা শুধুমাত্র সম্প্রচার স্বত্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে ৩৩০ মিলিয়ন পাউন্ড আয় থেকে। বৃহস্পতিবার মাহামারির ক্ষতি সামাল দিতে আর্সেনাল স্বল্প সময়ের জন্য ব্যাংক অব ইংল্যান্ড থেকে ঋন হিসেবে নিয়েছে ১২০ মিলিয়ন পাউন্ড।