বাসস দেশ-২৩ : মহানগরীর পুঁঞ্জিভুত সমস্যা সমাধানে নগর সরকারের বিকল্প নেই : সাঈদ খোকন

228

বাসস দেশ-২৩
নগর-সরকার
মহানগরীর পুঁঞ্জিভুত সমস্যা সমাধানে নগর সরকারের বিকল্প নেই : সাঈদ খোকন
ঢাকা, ১৩ আগস্ট, ২০১৮ (বাসস) : ঢাকা মহানগরীর দীর্ঘদিনের পুঁঞ্জিভুত সমস্যা সমাধান করতে হলে নগর সরকার বা সমন্বিত কর্তৃপক্ষের কোন বিকল্প নেই। সংসদ ভবনে মন্ত্রী হোস্টেল সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আজ এক সতবিনিময় সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘ঢাকা নগরীতে ৫৬টি সেবা সংস্থা কাজ করে। এদের একটির সাথে আরেকটির কোন সমন্বয় বা সম্পর্ক নেই। যার ফলে নগরীর জলাবদ্ধতা, যানজটসহ নানা সমস্যা সমাধান করা যাচ্ছে না। যেমন নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের দায়িত্ব ওয়াসার এবং যানজট নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব মেট্রোপলিটন পুলিশের। অথচ মানুষ তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে মেয়রের কাছে এসব সমস্যা সমাধান প্রত্যাশা করে। এর দায়ও কিন্তু নির্বাচিত প্রতিনিধির উপরই পড়ে। তাই দীর্ঘদিনের এসব পুঁঞ্জিভুত সমস্যা সমাধানে নগর সরকারের কোন বিকল্প নেই।’
নগরীর অতিদরিদ্র ও নগরের দরিদ্র পথবাসী সম্পর্কিত সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপ (এপিপিজি) ‘দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাগুলোতে সমন্বিত স্বাস্থ্য মনিটরিং ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
মেয়র বলেন, গ্রামের প্রান্তিক পর্যায়ে অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীর সংখ্যা এখন অনেক কমে আসছে। কিন্তু শহরে দিনদিন এই সংখ্যা বাড়ছে। কারণ নদী ভাঙন, বন্যা, ঝড়ঝঞ্জা, খরাসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষ জীবনজীবিকার জন্য শহরে চলে আসে। একবার যারা গ্রাম থেকে শহরে আসে তারা আর গ্রামে ফিরে যায় না। এদের অধিকাংশ ফুটপাতে বা অন্যান্য পাবলিক প্লেসে রাত কাটায়। এদর মধ্যে যাদের অবস্থা একটু ভাল তারা তারা শহরের বস্তিতে থাকেন। তিনি বলেন, সরকার ইউনিয়ন পর্যায়ে যে স্বাস্থ্য কাঠামো গড়ে তুলেছে, এর আওতায় গ্রামের মানুষ যে স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে থাকে সেই সেবা থেকে শহরের অতিদরিদ্র মানুষগুলো এই সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কারণ দারিদ্র বিমোচন, স্বাস্থ্যসেবা, পুষ্টি, সোশাল সেফটিনেটসহ বিষয়ে পলিসি তৈরি করার সময় মূল ফোকাস থাকে গ্রামের প্রান্তিক মানুষের দিকে। শহরের বিষয় যখন মাথায় আসে তখন বড় বড় হাসপাতাল, ক্লিনিকের কথা। ওই সব বড় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারে মধ্যবিত্ত থেকে উচ্চবিত্ত পর্যন্ত একটা শ্রেণী।
সাঈদ খোকন বলেন, পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার যে সমন্বিত উদ্যোগ তার লক্ষ্য হওয়া উচিত শহর কেন্দ্রিক। তাহলেই শহরের অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর সমন্বিত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে। এরজন্য প্রতি ওয়ার্ডে কমপক্ষে তিনটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আদলে সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি জোনে একটি করে ৫০ শয্যার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে।
এপিপিজি’র সভাপতি মো. ইসরাফিল আলম এমপি’র সভাপেিত্ব ও সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শিশির শীলের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদু, জাহিদ আহসান রাসেল, শিরিন নাঈম পুনম, কনসার্ণ ওয়ার্ল্ডওয়াইড এর প্রোগ্রাম ডিরেক্টর হেলেন ওয়ারিদ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এডিজি প্রফেসর এএইচএম এনায়েত হোসেন।
বাসস/এএসজি/এমএসএইচ/১৮২০/কেএমকে