বাসস দেশ-৯ : চট্টগ্রামে করোনায় সংক্রমিত ৩১ হাজার

121

বাসস দেশ-৯
চট্টগ্রাম-কোভিড-সংক্রমণ
চট্টগ্রামে করোনায় সংক্রমিত ৩১ হাজার
চট্টগ্রাম, ৭ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ৩১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল ১১৪ নতুন বাহক শনাক্ত হলে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩১ হাজার ৯৪ জনে। এদিনের সংক্রমণ হার ৭ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। এ সময় এক করোনায় রোগীর মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে ২৮ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিতের সংখ্যা ৩০ হাজার অতিক্রম করে। সেদিন ২০৯ নতুন বাহক শনাক্ত হলে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩০ হাজার ৮৮ জনে। সংক্রমণ হার ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ। এ সময় দুই করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। ২১ ডিসেম্বর মোট আক্রান্ত ২৯ হাজার অতিক্রম করে। সেদিন ১৫২ জন রোগী শনাক্ত ও ৩ জনের মৃত্যু হয়। সংক্রমণের হার ৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। জেলায় মোট করোনাক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ছাড়িয়ে যায় ১৪ ডিসেম্বর। সেদিন নতুন ২৮৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। সংক্রমণ হার ১৫ দশমিক ৮১ শতাংশ। এ সময়ে করোনাক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়।
শেষ দুই দফায় রোগীর সংখ্যা এক হাজার করে বাড়তে সময় লেগেছে ৮ দিন করে। তার আগে ৮ ডিসেম্বর ২৭ হাজার এবং ৩ ডিসেম্বর ২৬ হাজার পার হয়। এ দুই বারে রোগী এক হাজার করে বাড়তে সময় নেয় যথাক্রমে পাঁচ ও ছয় দিন। এবারে এক হাজার পূর্ণ হতে সময় লাগে ৯ দিন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, নগরীর সাতটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ১ হাজার ৬২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে নতুন ১১৫ জীবাণুবাহকের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯৯ জন এবং আট উপজেলার ১৫ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ৩১ হাজার ৯৪ জন। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৪ হাজার ১০৬ জন ও গ্রামের ৬ হাজার ৯৮৮ জন। উপজেলায় আক্রান্তদের মধ্যে হাটহাজারীতে ৫ জন, সীতাকু-ে ৪ জন, রাউজান, ফটিকছড়ি, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, বাঁশখালী ও পটিয়ায় ১ জন করে রয়েছেন।
গতকাল করোনায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জেলায় এখন মোট মৃতের সংখ্যা এখন ৩৬০ জন। এর মধ্যে শহরের ২৫৭ জন ও গ্রামের ১০৩ জন। সুস্থতার সনদ দেয়া হয় ৪৪ জনকে। জেলায় মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২৯ হাজার ৬৯০ জনে। এদের ৩ হাজার ৯৫২ জন হাসপাতালে ও ২৫ হাজার ৭৩৮ জন বাসায় চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। কোয়ারেন্টাইনে গতকাল যুক্ত হন ৩০ জন। ছাড়পত্র নেন ২০ জন। বর্তমানে ১ হাজার ৩৯১ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৬৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৩টির রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৫২৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় (চবি) ল্যাবে ১২৮ জনের নমুনায় ২২ জন করোনাক্রান্ত হিসেবে চিহ্নিত হন। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ^বিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ৬৮টি নমুনার ৭টিতে করোনার জীবাণু মেলে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬৮, শেভরনে ২৫ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে যথাক্রমে ১৫, ১২ ও ৫ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। চট্টগ্রামের ৮২টি নমুনা পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। এতে একটি ছাড়া সবগুলোরই ফলাফল নেগেটিভ আসে।
এদিন নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) কারো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ১ দশমিক ৮৭ শতাংশ, চমেকে ৭ দশমিক শূন্য ৪১, চবিতে ১৭ দশমিক ১৯, সিভাসু’তে ১০ দশমিক ২৯, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ২২ দশমিক ৬, শেভরনে ৪৮, মা ও শিশু হাসপাতালে ১৮ দশমিক ৫২ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ১ দশমিক ২২ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।
বাসস/জিই/কেএস/১২২৫/-আসাচৌ