বাসস দেশ-৩ : জয়পুরহাটে কৃষি প্রণোদনার আওতায় এক কোটি ৬৭ লাখ টাকা বিতরণ

194

বাসস দেশ-৩
কৃষি প্রণোদনা
জয়পুরহাটে কৃষি প্রণোদনার আওতায় এক কোটি ৬৭ লাখ টাকা বিতরণ
জয়পুরহাট, ৭ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস)ঃ কোভিড-১৯ মোকাবেলায় জেলার প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের সহায়তা হিসেবে ২০২০-২১ ফসল চাষ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা ও কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচীর আওতায় এক কোটি ৬৭ লাখ ৯১ হাজার ১০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। সুবিধা প্রাপ্ত কৃষকের সংখ্যা হচ্ছে ২৬ হাজার ৪শ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের অধিক হারে কৃষিপণ্য উৎপাদনে সহায়তা দানের জন্য কৃষি প্রণোদনা ও কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচি চালু করে। বর্তমানে এরসঙ্গে যোগ হয়েছে কোভিড-১৯ প্রাদূর্ভাব। জেলার পাঁচ উপজেলার কৃষি প্রণোদনার জন্য নির্বাচিত কৃষকের সংখ্যা হচ্ছে ২২ হাজার ৭০০ জন। এরমধ্যে রয়েছে বোরো চাষে ১৭ হাজার ৩০০ জন কৃষক, গম চাষের জন্য এক হাজার কৃষক, ভূট্টার জন্য এক হাজার কৃষক, সরিষার জন্য ৩ হাজার জন, গ্রীষ্মকালীন মুগডালে ২০০ জন কৃষক এবং পেঁয়াজ চাষের জন্য ২০০ জন। কৃষি প্রণোদনার আওতায় জেলায় ১৭ হাজার ৩শ বিঘা জমিতে হাইব্রিড জাতের বোরো ধান, এক হাজার বিঘা জমিতে গম, ভূট্টা এক হাজার বিঘা, সরিষা ৩ হাজার বিঘা, গ্রীষ্মকালীন মুগডাল ২শ বিঘা ও পেঁয়াজ ৬৬ বিঘা জমি নির্বাচন করা হয়েছে। হাইব্রিড জাতের বোরো ধান চাষের জন্য প্রতিজন কৃষক পেয়েছেন বীজ দুই কেজি, গম চাষের জন্য প্রতিজন কৃষক ২০ কেজি বীজসহ ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার, ভূট্টা চাষের জন্য প্রতিজন কৃষক ২ কেজি বীজ , ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার, সরিষা চাষের জন্য প্রতিজন কৃষক এক কেজি বীজসহ ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার এবং গ্রীষ্মকালীন মুগডাল চাষের জন্য প্রতিজন কৃষক বীজ ৫ কেজিসহ ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি সার ৫ কেজি এবং পেঁয়াজ চাষে প্রতিজন কৃষক পেয়েছেন বীজ ২৫০ গ্রামসহ ৫ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র আরও জানায়, কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় জেলায় ৩ হাজার ২০০ বিঘা জমিতে ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে ৩ হাজার ২শ জন কৃষকের মাঝে ২৫ লাখ ৩ হাজার ২শ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এ ফসল গুলোর মধ্যে রয়েছে ৫০০ বিঘা করে গম , সূর্যমূখী , টমেটো ও মরিচ চাষ এবং সরিষা এক হাজার বিঘা ও মশুর ২০০ বিঘা । কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূিচর আওতায় গম চাষের জন্য ২০ কেজি বীজ, সরিষা চাষে এক কেজি বীজসহ ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার, সূর্যমূখী চাষে এক কেজি বীজ, মশুর চাষী ৫ কেজি বীজসহ ৫ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার, টমেটো চাষে ৫০ গ্রাম বীজসহ ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার এবং মরিচ চাষের জন্য পেয়েছে ৩০০ গ্রাম বীজসহ ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি সার ৫ কেজি। এ ছাড়াও মাশকলাই চাষের জন্য ৫০০ জন কৃষকের মাঝে প্রণোদনা হিসাবে ৩ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা প্রদান করা হয়েছে। এখানে প্রতিজন কৃষককে বীজ ৫ কেজিসহ ডিএপি ১০ কেজি ও ৫ কেজি এমওপি সার দেওয়া হয়েছে। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় জেলার প্রান্তিক পর্যায়ে থাকা কৃষকদের জন্য কৃষি সহায়তা হিসেবে সরকার এক কোটি ৬৭ লাখ ৯১ হাজার ১০০ টাকা কৃষি প্রণোদনা ও কৃষি পুর্নবাসন কর্মসূিচর আওতায় বরাদ্দ প্রদান করে। যা উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। সুফলভোগী কৃষকের সংখ্যা হচ্ছে ২৬ হাজার ৪শ জন। করোনা প্রাদূর্ভাবের কারণে প্রান্তিক পর্যায়ে থাকা কৃষকদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতেকৃষি প্রণোদনা ও কৃষি পুনর্বাসন কর্মসূচি বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে বলে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক স. ম মেফতাহুল বারি।
বাসস/এনডি/সংবাদদাতা/১১০০/নূসী