শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের উন্নয়ন বিস্ময়: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

647

ঢাকা, ৬ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের উন্নয়ন বিস্ময়।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য গতি আজ বিশ্ববাসীকে বিস্মিত করেছে। ছয়টি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করেও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে এসেছেন।
আজ বুধবার সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিজ দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটানা দায়িত্ব পালনের যুগপূর্তি উপলক্ষ্যে ব্রিফিংকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
দেশের বিভিন্ন সেক্টরের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এটা অতীতে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি যে তাঁর জাদুকরী নেতৃত্বে একটি দেশ অনেক বেশি উচ্চতায় পৌঁছে যেতে পারে।
এসময় মন্ত্রী গত ১২ বছরে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে বলেন, দুধের উৎপাদন ২০০৮-০৯ সালে ছিল ২.২৯ মিলিয়ন মে. টন সেটা ২০১৯-২০ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ১০.৬৮ মিলিয়ন মে.টন। ১২ বছর পূর্বে মাংসের উৎপাদন ছিল ১.০৮ মিলিয়ন মে.টন, ২০১৯-২০ সালে সেটা দাঁড়িয়েছে ৭.৬৭ মে.টন, ডিমের উৎপাদন ছিল ৪.৭ বিলিয়ন বর্তমানে সেটা ১৭.৩৬ বিলিয়ন।
মৎস্য উৎপাদন ২০১০সালে ছিল ৩০.৬২ লক্ষ মে.টন বর্তমানে সেটা বেড়ে হয়েছে ৪৪.৮৮ লক্ষ মে.টন।
২০১০ এ ইলিশের উৎপাদন ছিল ২.৯৯ লক্ষ মেট্রিক টন এখন উৎপাদন বেড়ে হয়েছে ৫.৩৩ লক্ষ মেট্রিক টন। ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে এক নম্বরে, তেলাপিয়া উৎপাদনে চতুর্থ, অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের মাছ উৎপাদনে তৃতীয় এবং চাষের মাছ উৎপাদনে বিশ্বের বড় বড় দেশকে অতিক্রম করে আমরা পঞ্চম স্থানে আছি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, দেশীয় ৬৪ প্রজাতির বিলুপ্তপ্রায় মাছের মধ্যে ইতোমধ্যে ২৪টি প্রজাতির মাছ বিভিন্ন আঙ্গিকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। দেশীয় মাছ সংরক্ষণের জন্য আমরা জিন ব্যাংক করেছি। এটি অভাবনীয় সাফল্য। মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখায় মন্ত্রণালয় ২০২০ সালে একুশে পদক অর্জন করেছে।
শেখ হাসিনার আমলের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় মাথাপিছু গড় আয় এখন ২০৬৪ ডলার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে এখন উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হয়েছে। ৫০ বছরের কম সময়ে দ্রুতগতি সম্পন্ন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, জিডিপির উন্নয়ন, শিল্প রপ্তানি, ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠাসহ অনেক অভাবনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
এছাড়া পদ্মা সেতু, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা বন্দর, মেট্রোরেল এবং মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম চলছে। আশা করি ২০৩৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের একুশতম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ।
তিনি বলেন, যারা দেশের উন্নয়নকে ধ্বংস করতে চায়, আবার জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচি দিতে চায়, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, গত ১২ বছরে সরকারের সুব্যবস্থাপনার কারণে ইলিশ উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। আমরা অবৈধ জাল নির্মূলে কাজ করেছি, ইলিশ নিয়ে গবেষণা করা হয়েছে, ডিম ছাড়ার সময় কোনোভাবেই ইলিশ মাছ ধরতে দেয়া হয়নি, জাটকা নিধন বন্ধ করা হয়েছে, মা ইলিশ রক্ষায় এ বছর আকাশপথে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।