বাসস দেশ-৭
আম-মুকুল
মুকুলের মৌ-মৌ গন্ধে ভরা এখন মেহেরপুর আম বাগানগুলো
মেহেরপুর, ৬ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : মুজিবনগর আম্রকাননসহ জেলার বাগানের আমগাছগুলো মুকুলে ভরে গেছে। মুকুলের মৌ-মৌ গন্ধে ভরে উঠেছে আম বাগানগুলো। তাই বাগানগুলোতে মধু সংগ্রহে মৌ মাছিদেরও ছোটাছুটি শুরু হয়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে আম চাষিদের ব্যস্ততা। এটি এখন মেহেরপুরের মুজিবনগর আ¤্রকাননসহ জেলার আম বাগানগুলোর সাধারণ দৃশ্য। বাগানের মালিকেরা আমগাছে ওষুধ ছিটানোসহ বিভিন্ন ধরণের যত্ন-আত্মি বেড়ে গেছে ।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী মাসের মধ্যভাগ পর্যন্ত প্রতিটি গাছেই পুরোপুরিভাবে মুকুল ফুটে যাবে। বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছেন তারা।
কৃষি বিভাগ আরো জানায়, স্বাদের দিক থেকে মেহেরপুরের আম জগত জুড়ে। সুস্বাদু হওয়ায় এ জেলার আমের চাহিদা দেশের সব জেলা ছাড়িয়ে ইউরোপ মহাদেশেও তার সুখ্যাতি ছড়িয়েছে। চাহিদা বৃদ্ধির সাথে-সাথে আমের বাগানও বৃদ্ধি পাচ্ছে। মেহেরপুরের মুজিবনগরে বৃটিশ শাসনামলে তৈরী মুজিবনগর আ¤্রকাননে ১২শ’ আমগাছ আছে। ওই বাগানে ১২শ’ আমগাছ ১২শ’ জাতের। জেলায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সব জাতের আমেরই চাষ হচ্ছে। লাভজনক হওয়ায় প্রতিবছর কৃষিজমিতে তৈরী করা হচ্ছে আমের বাগান।
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ভোমরদহ গ্রামের আমচাষী জাহিদুল হাসান জানান, শীতের তীব্রতা থাকলেও এবার আমগাছে আগাম মুকুল আসতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার গাছগুলোতে মুকুলের সমারোহ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
সদর উপজেলার গোভীপুর গ্রামের আমচাষী মুকুল বিশ্বাস জানান, বাগানের নিয়মিত যত্ন নিলে অফ ইয়ার বলে কিছু থাকে না। প্রতি বছরই গাছে আম আসবে।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ স্বপন কুমার খাঁ জানান, তিনটি পর্যায়ে আমের মুকুল আসে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সব গাছে মুকুলে ভরে যাবে। জেলায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। আমচাষের জেলা রাজশাহী হলেও সুস্বাদু আমের জেলা মেহেরপুর। এখানকার মাটির গুণেই হিমসাগর, লেংড়া, বোম্বাই, তিলি বোম্বাই ইত্যাদি জাতের আম খুবই সুস্বাদু। বিশেষ করে নিয়মিত জাত ল্যাংড়া, গোপালভোগ, ক্ষীরসাপাতি, আশ্বিনা জাতের বাগান বেশি থাকলেও গবেষণাকৃত বারি-৩, বারি-৪ জাতের বাগান তৈরির ক্ষেত্রেও আগ্রহী হয়ে উঠছে অনেকে। সেই সঙ্গে নতুন-নতুন বাগান তৈরী হচ্ছে বনেদি ও হাইব্রিট জাতের। নিয়মিত যত্ন নিলে আমের অফ ইয়ার বলে কিছু থাকে না।
বাসস/এনডি/সংবাদদাতা/১২২৮/কেজিএ