মৃত্যুশূন্য টানা সপ্তম দিনে চট্টগ্রামে করোনাক্রান্ত ৮৪ জন

305

চট্টগ্রাম, ৬ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : চট্টগ্রামে মৃত্যুশূন্য টানা সপ্তম দিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ একশ’র নিচে নেমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৮৪ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ৬ দশমিক ৪২ শতাংশ।
উল্লেখ্য, গতকাল শনাক্ত রোগী একশ’র নিচে নামলেও সংখ্যা ও হারে ২ জানুয়ারি ছিল নতুন বছরের সর্বনি¤œ। এদিন ৬৭ জনের নমুনায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। সংক্রমণের হার ৫ দশমিক ৯২ শতাংশ। এর আগে ডিসেম্বর মাসে তিন দিন একশ’র নিচে রোগী শনাক্ত হয়েছিল। ১২ ডিসেম্বর ৭৮ জনের দেহে ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে। সংক্রমণ হার ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ১৭ ডিসেম্বর পরীক্ষায় ৭৯ জন করোনা শনাক্ত হন। সংক্রমণ হার ৬ দশমিক ৩৮ শতাংশ। ১৯ ডিসেম্বর ৯৬ জনের দেহে ভাইরাস মিলে। সংক্রমণের হার ৭ দশমিক ৬০ শতাংশ।
এদিকে, ২৯ ডিসেম্বর দুই জনের মৃত্যুর পর চট্টগ্রামে করোনায় আর কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে জানা যায়, নগরীর সাতটি ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামের ১ হাজার ৩০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন শনাক্ত ৮৪ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৪ জন ও সাত উপজেলার ১০ জন। উপজেলার মধ্যে সীতাকু-, রাউজান ও চন্দনাইশে ২ জন করে এবং রাঙ্গুনিয়া, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও মিরসরাইয়ে ১ জন করে রয়েছেন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা এখন ৩০ হাজার ৯৮০ জন, যাতে শহরের বাসিন্দা ২৪ হাজার ৭ জন ও গ্রামের ৬ হাজার ৯৭৩ জন।
গতকাল করোনাক্রান্ত কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। মৃতের সংখ্যা ৩৫৯ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ২৫৬ জন ও গ্রামের ১০৩ জন। সুস্থতার ছাড়পত্র পেয়েছেন নতুন ৪২ জন। মোট আরোগ্য লাভকারীর সংখ্যা ২৯ হাজার ৬৪৬ জনে উন্নীত হয়েছে। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩ হাজার ৯৪০ জন এবং হোম আইসোলেশনে থেকে ২৫ হাজার ৭০৬ জন। হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে গতকাল যুক্ত হন ২০ জন। ছাড়পত্র নেন ১৮ জন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১ হাজার ৩৭৬ জন।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, গতকাল সবচেয়ে বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে। এখানে ৫৯২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৭ জন করোনার জীবাণুবাহক পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ২৪৯ জনের নমুনার মধ্যে ৯ জন করোনাক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে ১২১ টি নমুনায় ১৩টি পজিটিভ চিহ্নিত হয়। ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ৫৯টি নমুনায় ৬ টিতে ভাইরাসের উপস্থিতি মেলে।
বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরনে ১৫০টি নমুনার মধ্যে ২২টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৫৩টিতে ১০টি এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ৩৫টি নমুনার ৭টিতে ভাইরাসের অস্তিত্ব চিহ্নিত হয়। চট্টগ্রামের ৪৯ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হলে পরীক্ষায় সবগুলোরই রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএলে এদিন কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে গত ২৪ ঘণ্টায় বিআইটিআইডি’তে ২ দশমিক ৮৭ শতাংশ, চমেকে ৩ দশমিক ৬১, চবিতে ১০ দশমিক ৭৪, সিভাসু’তে ১০ দশমিক ১৭, শেভরনে ১৪ দশশিক ৬৬, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১৮ দশমিক ৮৭ এবং মা ও শিশু হাসপাতালে ২০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।