বাসস দেশ-৪০ : বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে ডিসিসিআই’কে সহযোগিতা করা হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

210

বাসস দেশ-৪০
পররাষ্ট্রমন্ত্রী-ডিসিসিআই-বিজনেস-কনক্লেভ
বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে ডিসিসিআই’কে সহযোগিতা করা হবে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ৫ জানুয়ারি, ২০২১ (বাসস) : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের মিশনসমূহ ঢাকা চেম্বারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। আজ ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (ডিসিসিআই) উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী অনলাইন ভিত্তিক বিটুবি সম্মেলন ‘ডিসিসিআই বিজনেস কনক্লেভ ২০২১’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম বিশেষ অতিথি ছিলেন। স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান।
ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন এতে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
ডিসিসিআই সহ-সভাপতি মনোয়ার হোসেন, ৩৪জন দেশি-বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারবৃন্দ এবং ১০টি দেশের প্রায় ২০০জন উদ্যোক্তা উদ্বোধনী সেশনে অনলাইনে যুক্ত হন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে,‘ডিসিসিআই বিজনেস কনক্লেভ ২০২১’ দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। ডিসিসিআই’র এ উদ্যোগ বৈশ্বিক ব্যবসায়িক সমাজে বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের কর্মস্পৃহা ও উদ্যোম এর বহি:প্রকাশ এবং এ ধরনের উদ্যোগ দেশের অর্থনীতির উত্তরণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যেও আমাদের পণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া সচল ছিল এবং বর্তমান সরকার দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকা মধ্যে সমন্বয়ের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। তিনি জানান, দেশের উদ্যোক্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং সরকার গৃহীত প্রণোদনা প্যাকেজের যথাযথ বাস্তবায়ানের মাধ্যমে মহামারী সময়কালেও দেশের অর্থনীতি কাঙ্খিত মাত্রায় সচল ছিল। এছাড়া বর্তমানে দারিদ্র বিমোচন, কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন সরকারের নিকট সবচেয়ে বেশি প্রধান্যের বিষয়। আগামী মাসের মধ্যে এলডিসি হতে বাংলাদেশের উত্তরণের সম্ভাবনা রয়েছে এবং সার্ক ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্যবাংলাদেশ আকর্ষণীয় গন্তব্যস্থল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বিশেষ অতিথি’র বক্তব্যে বিডা নির্বাহী চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, করোনা মাহামারীতে বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে, যেখানে স্থানীয় বাজারে চাহিদা ও রপ্তানি বৃদ্ধির পাশাপাশি রেমিট্যান্স প্রবাহও বেড়েছে। তিনি জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে করোনা পরিস্থিতিতেও দেশের রপ্তানির পরিমান ছিল ৩৩.৬৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বাসস/সবি/এমএন/২০২০/কেএমকে